চলছে লোকসভা নির্বাচন। শনিবারই সম্পন্ন হয়েছে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। এর মধ্যেই নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হল রাজনৈতিক মহলে। এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় ও অগ্নিমিত্রা পাল! সেই ঘটনার সূত্র ধরেই শনিবার বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, “বিজেপি নিজেই বলছে ওদের ভূমিকা ঠিক নয়, যার অর্থ এটাই যে বিজেপির হাওয়া ভালো নয়।” নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারের বজবজ বিধানসভা এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় রোড শো করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পূজালী পুরসভার সামনে বক্তব্য রাখেন তিনি। “আজ ছ দফায় ভোট হয়ে গেল। মেদিনীপুরে অনেক হুংকার দিয়েছিল। আজ তাঁদের কোমর ভেঙে গিয়েছে মেদিনীপুর, জঙ্গলমহলে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার কথা বলেছিল। আজ বিজেপি বলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা ভালো নয়, তার মানে হাওয়া ভালো নয়। আসলে নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকাই হয়। যত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে তত তৃণমূলের ভোট বাড়বে। আমি তো বলেছি আরও ৫০০ কোম্পানি পাঠান, মানুষ ভোট দেবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়”, জানান অভিষেক।
পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, “ছয় দফার ভোটে বিজেপির দফারফা হয়েছে। আগামী ১ তারিখ কফিনের শেষ পেরেকটা পুঁতবো। পদ্মফুলের নেতাদের এখন শুধু বিসর্জনের অপেক্ষা। কেন্দ্রে ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল সরকার হবে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হবে গরিব মানুষের যে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা নরেন্দ্র মোদী গা-জোয়ারি করে আটকে রেখেছে তা এনে সাধারণ মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কাজে লাগানো। বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সহ জীবনদায়ী ওষুধের অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ১০ বছরের জমানায়। মোদীজি পাশ না ফেল তা আপনারাই বুঝতে পারছেন। আসলে ওটা ভারতীয় জনতা পার্টি নয়, ভারতীয় জুমলা পার্টি। এই লোকসভার অধীনে সাতটা বিধানসভায় ২০২১ এ হারিয়েছি। ২০২৪ এ আরো বেশি ভোটে হারাবো। সবুজ আবির খেলতে আসবো আপনাদের সঙ্গে। সকলে তৈরি হন। চার লক্ষের জয়ের ব্যবধান করতেই হবে। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন।” উল্লেখ্য, এদিন মেদিনীপুর কেন্দ্রে নির্বাচন চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনী ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “দরজার পাশে দাঁড়িয়ে ভোট করাচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। আর প্রিসাইডিং অফিসার তার হেল্প নিচ্ছে। সাদা পোশাক পরে দাঁড়িয়ে রয়েছে সে তো কলকাতা পুলিশ বলেই মনে হচ্ছে। তাকে হুমকি দিতে দেখিনি। কিন্তু কেন বুথের পাশে রয়েছেন এটাই তো বুঝলাম না।” পাশাপাশি ঘাটালের কেশপুরে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী হিরণ অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন না। এই প্রসঙ্গেই শনিবার নিজের কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে পদ্মশিবিরকে কড়া ভাষায় একহাত নিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড।