শনিবার সম্পন্ন হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ। বাংলার ৮টি আসনে হয়েছে ভোট। আর ভোটের আবহে ফের বড়সড় বিতর্কে জড়াল কেন্দ্রীয় বাহিনী। হাওড়া, হুগলির ঘটনার জেরে শোরগোল চলছিলই। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল। জল চাওয়ার অছিলায় বাড়িতে গিয়ে সিআরপিএফ জওয়ান বধূর শ্লীলতাহানি করেন বলেই অভিযোগ। ওই জওয়ানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্যাতিতা মহিলা ডেবরার ১২৬ নম্বর বুথের বাসিন্দা। তিনি জামাকাপড় কেচে বাড়ির উঠোনে শুকতে দিতে যান। মহিলার দাবি, সেই সময় এক সিআরপিএফ জওয়ান তাঁর বাড়ির সামনে আসেন। বাড়িতে চেয়ার, টুল রয়েছে কিনা, প্রশ্ন করেন। মহিলা জানান, কিছুই নেই। কিছুক্ষণ পর ফের মহিলার বাড়িতে পৌঁছান ওই জওয়ান। মহিলার থেকে জল চান। বধূ জলের বোতল দেন। উঠোনে বসে সেই সময় রান্না করছিলেন মহিলা। অভিযোগ, অশ্লীলভাবে স্পর্শ করে বোতলটি বধূর কোলে রাখেন ওই জওয়ান। তারপর চেপে ধরেন হাত।
স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কবশত বাড়ির ভিতর ঢুকে যান ওই মহিলা। পরিবারের সকলকে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানান। এই ঘটনায় হইচই শুরু হয়। এর পর ওই জওয়ানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় কমিশন। ইতিমধ্যেই ভোটের ডিউটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন ঘাটালের তারকা তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেব। তিনি বলেন, “রক্ষকই ভক্ষক। এটা গুরুতর অপরাধ। নির্বাচন কমিশনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” উল্লেখ্য, এর আগে পঞ্চম দফার ভোটের আগে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় বধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে জওয়ানের বিরুদ্ধে। ভোটের ডিউটিতে আসা আইটিবিপি জওয়ানের বিরুদ্ধে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে হুগলির জাঙ্গিপাড়ায়। এই দুই ঘটনাতেও কঠোর পদক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশন। ভোটের ডিউটি থেকে দুজনকেই সরিয়ে দেওয়া হয়। দুটি ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ষষ্ঠ দফার ভোটেও একই অভিযোগে বিদ্ধ হল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইতিমধ্যেই নিন্দায় সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।