২২ মে বুধবার গুজরাটের বানাসকান্থা জেলায় মহিষ নিয়ে নিজের গাড়িতে করে হাটে যাচ্ছিলেন এক মুসলিম যুবক। বানাসকান্থা জেলার সেসান নাভা গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম মিসরি খান বালোচ।
সূত্রের খবর, মিসরি খান বালোচ তাঁরই গ্রামের আরেক বাসিন্দা হুসেন খান বালোচ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাদের গাড়িতে করে দুটি মহিষ নিয়ে দীসা এলাকার একটি পশু বাজারে যাচ্ছিলেন। তবে সেখানে যাওয়ার সময় মাঝপথেই টায়ার পাংচার হয়ে যায় তাদের গাড়ির।
সূত্রের খবর, ভোর পাঁচটার দিকে মিসরি খান বালোচ ও হুসেন খান বালোচের উপর পাঁচজন গোরক্ষকের একটি দল অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলা চালানোর পরই মিসরি খানকে লোহার রড দিয়ে নৃশংসভাবে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রডের আগাতে গুরুতরভাবে আহত হন ওই যুবক। তারপর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মিসরি খান বালোচের। কিন্তু কোনও মতে হামলাকারীদের হাত থেকে বেঁচে পালিয়ে যান গোটা ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী হুসেন খান বালোচ।
পরে হুসেন খান বালোচ পুলিশকে ভয়ঙ্কর ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যখন তাদের গালাগালি করতে শুরু করে এবং তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তখন তিনি এবং মিসরি খান তাদের গাড়ি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই সময় তাদের গাড়ির টায়ার ফেটে যায়। পরে হুসেন খান পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও হামলাকারীরা মিসরি খানকে ধরে ফেলে।
এদিকে পুলিশ আখেরাজসিংহ পার্বতসিংহ বাঘেলা, নিকুলসিংহ, জগৎসিংহ, প্রবীনসিংহ এবং হামিরভাই ঠাকুর নামে পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা, অন্যায়ভাবে সংযম, অপরাধমূলকভাবে ভয় দেখানো এবং অপরাধমূলক ভয় দেখানো এবং ষড়যন্ত্রের জন্য একটি মামলা দায়ের করেছে।