দিল্লিতে কংগ্রেস বিরোধী আন্দোলনই জন্ম দিয়েছিল আম আদমি পার্টির। একসময় সোনিয়া গান্ধীর গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হয়েছিলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের যে তালিকা তৈরি করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, তাতে নাম ছিল রাহুল গান্ধীরও। অথচ গান্ধী পরিবারের সেই সদস্যরাই এবার ভোট দিলেন আপকে। শুধু ভোট দিলেন না, আপকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী স্পষ্ট করে দিলেন, বিভেদ ভুলে জোটধর্ম পালন করতে পেরে তাঁরা গর্বিত। তবে চার প্রজন্মের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথমবার গান্ধীরা ভোট দিতে পারলেন না কংগ্রেসকে। কারণ রাহুলদের নিজেদের ভোট যে নয়াদিল্লি কেন্দ্রে, সেই কেন্দ্রটি এবার জোট সূত্র অনুযায়ী গিয়েছে আপের ভাগে।
প্রসঙ্গত, শনিবার দিল্লির নির্বাচনে সকাল সকালই ভোট দিতে যান রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী। ছেলেমেয়ে-সহ ভোট দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং তাঁট স্বামী রবার্ট বঢরাও। ভোট দেওয়ার পর সেলফিও তোলেন মা-ছেলে। ভোটাধিকার যতই গোপনীয় হোক, এবার গান্ধীরা যে ইন্ডিয়া জোটের আপ প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন, সেটা নিয়ে বোধ হয় কারও মনেই সংশয় নেই। ভোটদানের পর এদিন স্বাভাবিক ভাবেই হাত চিহ্নে ভোট দিতে না পারা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাহুল, প্রিয়াঙ্কাকে। তবে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক স্পষ্ট বলে দেন, ‘আমরা সব বিভেদ দূরে সরিয়ে রেখে সংবিধান এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য ভোট দিচ্ছি। আর এটার জন্য আমরা গর্বিত।’