বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি এই মুহূর্তে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। শনিবার রাতেই তৈরি হয়ে যাবে ‘রেমাল’। আর রবিবার গভীর রাতে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ এবং রাজ্যেত উপকূলে। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আর তাই ধাক্কা সামলাতে শুক্রবার থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ইতিমধ্যেই নবান্নে বিশেষ কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব নিয়েছেন আইএএস-রা।
পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার ডব্লুবিসিএস আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করেছেন জেলাশাসকরা। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বাংলাদেশগামী ওয়েল ট্যাংকারের যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে। সকাল থেকে শুরু হয়েছে মাইকিং। মাঝ সমুদ্র থেকে মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। পর্যটকদেরও শনিবার সকাল থেকে এলাকা খালি করতে বলা হয়েছে।
ঝড়বৃষ্টিতে সাধারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হলে হট লাইনের মাধ্যমে যাতে যোগাযোগ রাখা যায় তার ব্যবস্থাও করে হয়েছে। বিদ্যুৎ, পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, পরিবহণ, শিক্ষা, কৃষি-সহ বিভিন্ন দপ্তরকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। রাস্তাঘাট, জেটি, বন্দরের কোনও ক্ষতি হলে যাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতি শুরু করতে বলা হয়েছে। এদিকে, কর্মীদের ছুটি বাতিল করল কলকাতা পুরসভা। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সচিব ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।