প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় কৃষকদের প্রতিবাদ-আন্দোলনের অশনি সংকেতে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। আম আদমি পার্টি শাসিত পাঞ্জাবে মোদীর আসন্ন নির্বাচনী প্রচারসভায় রাজ্যের কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন। সেই অস্বস্তি এড়াতে চাইছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই কৃষক সংগঠনগুলির কাছে বিজেপি আবেদন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সভা ভণ্ডুলের চেষ্টা না করে আগাম স্মারকলিপি বা দাবিসনদ পেশ করতে। যা নরেন্দ্র মোদীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
আগামিকাল, বৃহস্পতিবার পাতিয়ালায় এবং গুরুদাসপুর ও জলন্ধরে ২৪ মে নির্বাচনী সভা রয়েছে মোদীর। দীর্ঘদিন ধরেই পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকদের দাবি, স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ মেনে আইনি নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। সম্প্রতি কৃষকদের দিল্লি চলো মিছিলে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা পুলিশের গুলিতে এক যুবকের মৃত্যুতে সংগঠনগুলি ফুসছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে তাঁরা সেই বিক্ষোভ উগরে দিতে পারেন বলে আশঙ্কায় ভুগছে পাঞ্জাবের বিজেপি নেতৃত্ব। এমনটা ঘটলে মোদীর সামনে রাজ্য নেতৃত্বের মুখে চুনকালি পড়বে। তাই নির্বিঘ্নে সভাপর্ব মেটাতে তৎপর দলের নেতারা।
বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মনোরঞ্জন কালিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ভণ্ডুল করার চেষ্টা না করে কৃষকদের উচিত বিস্তারিত দাবিপত্র জমা দেওয়া। আমরা তাঁদের নিশ্চিত করে জানাচ্ছি, সেই দাবিপত্র মোদীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। ফলে তাঁদের সমস্যা দ্রুত মেটার আশা ও পরিবেশ দুইই তৈরি হবে। কিন্তু মোদীর সভা চলাকালীন গোলমাল পাকানোর চেষ্টা ও কিংবা প্রতিবাদে কোনও সমাধান হবে না।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুনীল জাখর বলেন, কৃষক সংগঠনগুলির উচিত গোড়াতেই একটি সমঝোতায় আসা। তাঁরা কী চান, আগে সেটা ঠিক করে ফেলুন। কারণ তাঁদের এক-একজন এক-এক দাবি তুলছেন। উল্লেখ্য, পাঞ্জাবে বিজেপির ১৩ জন লোকসভা ভোটের প্রার্থীই রোজ কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। তাঁদের প্রচার করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, বিশেষত গ্রামীণ এলাকায়।