এবার বাঁকুড়ার জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তীকে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। প্রচার লগ্ন থেকেই সর্বত্র ছুটে বেড়িয়েছেন। শনিবার ষষ্ঠ দফায় ভোটের দিনও একইভাবে সক্রিয় তিনি। এদিন দুটি বুথে ইভিএম নিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে ব্যাপক ধমক দিলেন অরূপ। তাঁর অভিযোগ, দুটি বুথে ইভিএম ঠিক মতো রাখা হয়নি। কোনওটি বাঁকা করে রাখা হয়েছিল, কোনটা আবার উঁচু করে রাখা ছিল। এক নম্বর বোতামে ভোট যাতে না পড়ে তাই এই ধরনের কারসাজি করা হয়েছে বলে দাবি বাঁকুড়ার বিধায়কের।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভোটের দিন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রগুলি পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন অরূপবাবু। সেই সময়ে তিনি বাঁকুড়ার বনদফতরের ৭২ ও ৭৩ নম্বর বুথে যান। ওই দুটি বুথে ঢুকে ভোট কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে ইভিএম মেশিন ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা, তা দেখতে যান। সেটি দেখার পরই রেগে আগুন হয়ে যান অরূপবাবু। প্রিসাইডিং অফিসারকে ধমক দিতে শুরু করেন। অরূপবাবু প্রিসাইডিং অফিসারকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘বাড়ি কোথায়?’ তারপর সেখানে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, ‘প্রেস, এই দেখুন, ইভিএম বাঁকা করে রেখেছিল।’
তৃণমূল প্রার্থীর ধমকের মুখে পড়ে ‘ভুল’ হয়ে গেছে বলে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইতে থাকেন ওই ভোট কর্মী। বাইরে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকরা অরূপ চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ইভিএমটা বাঁকা করে রেখেছিল, যাতে এক নম্বরটা লোকের খুঁজতে অসুবিধা হয়। আরও একটা জায়গায় দেখলাম উঁচু করে রেখেছে। যাতে ভোট দিতে কষ্ট হয় বা একে না পড়ে দুইয়ে বা তিনে পড়ে যায়।’ ভোট কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে অরূপবাবু জানান, তিনি এই বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানাবেন।