নির্বাচনের আবহে ফের অস্বস্তি বাড়ল বঙ্গ বিজেপির। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি কাণ্ডে একের পর এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই মাথাব্যথা বেড়েছে গেরুয়াশিবিরের। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার পদ্মশিবিরে ভাঙন ধরল। তৃণমূলে যোগ দিলেন বসিরহাটের বিজেপি নেত্রী সিরিয়া পারভিন। বৃহস্পতিবার শশী পাঁজা এবং মমতাবালা ঠাকুরের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন তিনি। উল্লেখ্য, সিরিয়া পারভিন, বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। বছর দুয়েক পর ২০১৮ সালে সাধারণ সম্পাদক হন। রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন সিরিয়া।
মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, “সন্দেশখালিতে মহিলাদের সম্মান তলানিতে গিয়ে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। অসত্য চিত্রনাট্য, অসত্য ঘটনা তাঁর সামনে হয়েছে। এটা যে ষড়যন্ত্র, তা তিনি জানতে পারেন। পরিস্থিতি সহ্যের বাইরে চলে যায়। এতদিন হয়তো সাহস হয়নি। পরে এগিয়ে এসে অসত্য, ভুল রাজনীতির সঙ্গে থাকবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন সিরিয়া।” দলে যোগ দেওয়ার পর সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব হন সিরিয়া পারভিন। বলেন, “অনেক ঘাত, প্রতিঘাত পেরিয়ে এখানে এসেছি। প্রথমে মা-বোনেদের সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম। ভোটে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর জানতে পারি, সন্দেশখালি কাণ্ড একটা বানানো গল্প ছাড়া আর কিছু নয়। মহিলাদের আন্দোলন করার জন্য টাকা, মোবাইল দেওয়া হত। কাল কী হবে, তা আগে থেকেই বিজেপির তরফে নির্দেশ দেওয়া হত। পুরোটা জানতে পারি যখন ভেঙে পড়ি। তার পরই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত।” সম্প্রতি সন্দেশখালিতে ওঠা মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগও সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেই দাবি করেছেন সিরিয়া পারভিনের। সন্দেশখালিতে বিজেপির তোলা ‘পিঠে বানানো’র অভিযোগও ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি। সিরিয়া পারভিনের এহেন দলবদলের সিদ্ধান্তে পদ্ম-নেতৃত্বে যে যথেষ্ট বিপাকে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।