ক্রিকেটে নতুন মাইলস্টোন ছুঁল আমেরিকা। শুক্রবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও জিতল তারা। পাশাপাশি, এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ পকেটে পুরে নিল আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক দল। এদিনের খেলায় আমেরিকার কাছে ৬ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। এদিন আমেরিকার বিরুদ্ধে পুরো ২০ ওভার ব্যাট করতে পারল না তারা। ১৯.৩ ওভারেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। বৃহস্পতিবার প্রথমে ব্যাট করে আমেরিকা করে ৬ উইকেটে ১৪৪ রান। জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৩৮ রানে। টস জিতে প্রথমে আমেরিকাকে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই ওপেনার স্টিভ টেলর এবং মনাঙ্ক পটেল আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন। টেলর করেন ২৮ বলে ৩১ রান। মারেন ৩টি চার এবং ২টি ছয়। অধিনায়ক মনাঙ্ক খেলেন ৩৮ বলে ৪২ রানের ইনিংস। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৪টি চার এবং ১টি ছক্কা। এ ছাড়া আমেরিকার হয়ে ভাল রান করেন চার নম্বরে নামা অ্যারন জোন্স। তিনি ৩৪ বলে ৩৫ রান করেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সফলতম রিশাদ হোসেন ২১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। ২৯ রানে ২ উইকেট শরিফুল ইসলামের। ৩১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৩৫ রান খরচ করেও শাকিব উইকেট পাননি।
এরপর ১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারের (০) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অন্য ওপেনার তানজিদ হাসান করেন ১৫ বলে ১৯ রান। তিন নম্বরে নেমে অধিনায়রক নাজমুল খেলেন ৩৪ বলে ৩৬ রানের ইনিংস। ২টি চার এবং ১টি ছয় মারেন তিনি। এ ছাড়া তৌহিদ হৃদয় ২১ বলে ২৫ এবং শাকিব ২৩ বলে ৩০ করেন। শাকিব ৪টি চার এবং ১টি ছক্কা মারেন। বাংলাদেশের শেষ ছয় ব্যাটারের কেউই দু’অঙ্কের রান করতে পারেননি। ফলে ৫ উইকেটে ১২৪ থেকে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৩৮ রানে। অর্থাৎ আমেরিকার বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে নাজমুলদের শেষ পাঁচ উইকেট পড়েছে ১৪ রানের মধ্যে। আমেরিকার সফলতম বোলার আলি খান ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন। ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন সৌরভ নেত্রভলকর। ২১ রানে ২ উইকেট শ্যাডলি ভ্যান শালউইকের। এ ছাড়া কোরি অ্যান্ডারসন ১১ রানে ১টি এবং জসদীপ সিংহ ২০ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দু’টি ম্যাচই জিতে নিল আমেরিকা। একই সঙ্গে প্রথম কোনও টেস্ট খেলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের নজির গড়ল তারা। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ শনিবার ২৫শে মে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলের এহেন ফর্ম নিয়ে যে দুশ্চিন্তা বাড়ল বাংলাদেশের, তা বলাই বাহুল্য।