মোদী জমানায় বারবারই প্রশ্ন উঠেছে রেলের যাত্রী পরিষেবা নিয়ে। যেমন হাওড়াতে বৃষ্টির জমা জল পেরিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটা থেকে শুরু করে ট্রেন ধরা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ বাড়ছিল যাত্রীদের মধ্যে। বুধবার বৃষ্টি হতেই ফের জল জমে যায় হাওড়া স্টেশনে। যা নিয়ে হাওড়া স্টেশনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
হাওড়া স্টেশনের সাবওয়ের মধ্যে ১১ নম্বর থেকে ২২ নম্বর মোট বারোটি টিকিট কাউন্টার ও এটিভিএম মেশিন রয়েছে। বৃষ্টিতে কাউন্টারের সামনে হাঁটু জল জমে যায়। জল জমে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ফলে যাত্রীরা জলে নেমে টিকিট কাটতে বাধ্য হন। জুতো, প্যান্ট ভিজিয়েই টিকিট কাটতে হয় তাঁদের। এ নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
এদিকে দায় এড়িয়ে হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জীব কুমারের প্রশ্ন, ‘পুরসভার আওতায় থাকা সাবওয়ে রেল কেন পরিষ্কার করবে?’ পাশাপাশি সাবওয়েটি হকার, দুষ্কৃতী, সবজি বাজারের দখলে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। তাঁদের ফেলা বর্জ্যে নিকাশীগুলি বন্ধ হওয়ার কারণেই নোংরা জল উপচে পড়ছে বলে দাবি সঞ্জীবের।
যদিও রেলের এই দাবি নস্যাৎ করে৷ দিয়েছেন হাওড়া জেলার আইএনটিটিইউসির সভাপতি অরবিন্দ দাস। তিনি বলেন, ‘হকাররা নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে চলে। তাদের জন্য নিকাশী সমস্যা হয় না।’ অরবিন্দবাবুর পালটা অভিযোগ, রেলের জলই পুরসভার এলাকা ভাসায়।