মোদী জমানায় গত ১০ বছরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বহুলাংশে খর্ব হয়েছে। এখানে জোর গলায় কেন্দ্রবিরোধী বা শাসকদল বিরোধী খবরে যে কোনও পদ্ধতিতে কাঁচি চালিয়েছে মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি। একটি দুটি নয়, বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি সমীক্ষা রিপোর্ট ও বিশেষজ্ঞরা এমনটাই বলছেন।
সিএনএন ওয়ার্ল্ড-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, ভারতের সরকার জনপ্রিয় নেতার দ্বারা পরিচালিত হলেও তিনি বিভাজনবাদী। প্রধানমন্ত্রীর পদে বসার পর থেকে গত ১০ বছরে একটিও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি। বিরোধীদের অভিযোগ, গণমাধ্যমের বহুত্ববাদকে দমন করে রেখেছেন। এবং বিরোধী কণ্ঠের সাংবাদিকদের উপর দেশদ্রোহ, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এসব অভিযোগে তাঁদের মুখ বন্ধ করা হয়েছে। দৃষ্টান্ত দিয়ে সিদ্দিক কাপ্পানের কথাও তুলে ধরা হয়েছে নিবন্ধে।
এই অবস্থায় মোদী এবং তাঁর দল যখন আরও পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসার দাবি জানাচ্ছে, তখন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার উপর দীর্ঘ প্রশ্নচিহ্ন খাড়া হয়ে যাচ্ছে বলে নিবন্ধের মত। সিএনএনকে কাপ্পান বলেছেন, এখন কোনও কিছু লেখার আগে কয়েকশো বার ভাবি, যে কোনও সময়, দেশের যে কোনও প্রান্তে, যে কেউ আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। এই ভয় ও আতঙ্কের কালো মেঘ ছড়িয়ে রয়েছে ভারতের গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের ওপরে।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম-এর ২০২৩ সালের মানকাঠিতে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৬১ নম্বরে। এই অবনমন ঘটেছে ২০১৪ সালে মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বের পর থেকে। এই তালিকায় ভারতের ওপরে রয়েছে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানও।