পাঁচ দফা ভোটের পর টনক নড়ল নির্বাচন কমিশনের। ভোটপ্রচারে ধর্মীয় লাইনের ব্যবহার, বা সাম্প্রদায়িক উসকানি নয়। বিজেপিকে সতর্ক করল কমিশন। একই সঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে কংগ্রেসকেও।
নির্বাচন কমিশনের তরফে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। কমিশন দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের সভাপতিদেরই সতর্ক করে দিয়েছে, যাতে তারকা প্রচারকরা ধর্মীয় বিভাজনকে প্রচারে হাতিয়ার না করেন। কমিশনের বক্তব্য, “ভারতের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংহতি স্রেফ ভোটের জন্য বিসর্জন দেওয়া যায় না। দেশের প্রধান দুই দল ভোটারদের অভিজ্ঞতা এবং ভারতীয় রাজনীতির ঐতিহ্যকে বিষিয়ে দিতে পারে না।”
বিজেপির বিরুদ্ধে কমিশনের সুর আরও চড়া। জেপি নাড্ডাকে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, দলের তারকা প্রচারকরা যেন ভোটে কোনওভাবেই সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মীয় উসকানির আশ্রয় না নেন। প্রচার চলাকালীন যাতে তারকারা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেন, সেটাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে নাড্ডাকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরুকরণকে হাতিয়ার করে প্রচার করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। প্রায় প্রতিটি সভাতেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা যাচ্ছে, মঙ্গলসূত্র, অনুপ্রবেশকারী, মুসলমানের মতো শব্দ। পিছিয়ে নেই শাহ-নাড্ডারাও। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল সেই দ্বিতীয় দফার ভোটের পরই। কিন্তু দ্বিতীয় দফা থেকে পঞ্চম দফা, ৩ দফার ভোট মিটে গেলেও কমিশনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবশেষে টনক নড়েছে কমিশনের। যদিও, সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করা হয়নি নোটিসে। আবার একই সঙ্গে নোটিস পাঠানো হয়েছে কংগ্রেসকেও। ওয়াকিবহাল মহলের মনে, যাতে একা বিজেপি ‘কলঙ্কিত’ না হয়, সেকারণেই হাত শিবিরকে নোটিস পাঠানো হল।