আবার সন্দেশখালি রহস্য! ভিডিয়োর পর এ বার অডিয়ো ক্লিপ। যেখানে শোনা যাচ্ছে ‘রেখা পাত্রের মুখের দাগ’ সংক্রান্ত কথাবার্তা থেকে শুরু করে ‘দরকারে কলাগাছ কেটে ফেলতে বলেছেন দাদা’— এমন নানা কিছু। এসেছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নামও। তিন (সম্ভবত তিনই) কণ্ঠের এই কথোপোকথন কাদের মধ্যে?
যদিও সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর দাবি— এই রেকর্ডিংয়ে যে মহিলা কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে, তা স্থানীয় বিজেপি নেত্রী মাম্পি ওরফে পিয়ালি দাসের। শুভঙ্কর এবং সুজয় মাস্টার বলে আরও দু’জনের নাম উল্লেখ করেছেন সুকুমার।
অডিয়ো ক্লিপ প্রসঙ্গে সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “একটি ভিডিয়ো ভাইরাল আমরা দেখেছিলাম গঙ্গাধর কয়াল পার্ট-ওয়ান এবং পার্ট-টু। আজ একটা অডিয়ো ক্লিপ দেখতে পেলাম। যেখানে শুভঙ্কর, সুজয় মাস্টার এবং যে মাম্পি অ্যারেস্ট হয়েছিল, সেই মাম্পির সঙ্গে কথা বলছে। তাতে বলছে এখানে দরকার পড়লে খুনও করতে হবে। সন্দেশখালির বিজেপি রাজনৈতিক জমি দখলের জন্য কতটা নীচ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারে। এই অডিয়ো ক্লিপ তা প্রমাণ করছে। প্রথমত, সন্দেশখালি আন্দোলনের যে মুখ ছিল রেখা পাত্র, সেই রেখা পাত্রের গালে দাগ ছিল। সেই দাগটাও নাকি নাটকীয় ভাবে তৈরি করা। তা হলে এখানে যে আন্দোলন হয়েছিল, নারী নির্যাতন ছিল না তা এই অডিয়ো ক্লিপে প্রমাণ হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, আমরা পরিষ্কার এই অডিয়ো বার্তায় দেখতে পেলাম, সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করার জন্য শুভঙ্কর বলছে তার দাদার নির্দেশ, তার দাদার কথা। দাদা আদেশ করছেন, যে এখানে খুনও করতে হতে পারে। খুন করে ফেল।
এ রকম জঘন্য নীচ ষড়যন্ত্রে বিজেপি লিপ্ত হতে পারে এই অডিয়ো ক্লিপটা প্রমাণ করছে। এই অডিয়ো ক্লিপ থেকে আমরা বুঝতে পারলাম, এর আগে যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল গঙ্গাধর কয়াল পার্ট-ওয়ান, পার্ট-টু সেটা সত্য। কারণ, এখানে নারী নির্যাতন হয়নি। কে দাদা? এই দাদাকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হোক। আইন মারফত পুলিশকে দাবি করব, শুভঙ্কর যে বলছে দাদার নির্দেশ কলাগাছের মতো কেটে ফেলতে হবে। তা হলে সেই দাদাকে সামনে আনা হোক। সেই দাদা বিজেপির কোনও বড় নেতা হতে পারেন। শুভেন্দু অধিকারীও হতে পারেন। বা অন্য কেউও হতে পারেন। তা হলে সেই দাদাকে সামনে নিয়ে আসা হোক। এটা আমার দাবি।”