চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে ছয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। আগামী ২৫শে মে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ। ভোট রয়েছে দুই মেদিনীপুরেও। উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, ডিজেলের অগ্নিমূল্যে মৎস্যজীবীদের হালহকিকত, হু হু করে বেড়ে চলা ভেনাম চিংড়ি চাষের জেরে ক্রমহ্রাসমান ধান জমি, এসব ধর্তব্যের মধ্যেই আনছে না বিজেপি। কিন্তু এগুলোই তো সমুদ্র কেন্দ্রিক কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের মূল সমস্যা, বারবার বলছেন তৃণমূলের প্রার্থী উত্তম বারিক। ভোটের মাত্র তিনদিন আগে চণ্ডীপুর থেকে শুরু করে সমুদ্র শহর দীঘা পর্যন্ত কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের সর্বত্র পৌঁছে যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের বিভিন্ন প্রস্তাব। আর সঙ্গে পদ্মপার্টির প্রার্থী কনিষ্ঠ পুত্র সৌমেন্দুর হয়ে খাতায়-কলমে বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর ‘ভোট যাচনা’ তো রয়েছেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথা তুলে হুমকি চলছেই।
প্রসঙ্গত, কাঁথি মহকুমার মূল অর্থনৈতিক কেন্দ্র দীঘা। সমুদ্র শহরের এক ব্যবসায়ীর কথায়, “দীঘা তো এখন বাঙালির গোটা সপ্তাহের ডেস্টিনেশন। কী ছিল দীঘায়, আর কী বানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে বা যাঁরা আসছেন, তাঁরাই উপলব্ধি করছেন। পর্যটক বেড়েছে, ব্যবসা বেড়েছে, চাঙ্গা হয়েছে পরিবহণ ব্যবসাও। গত ১০ বছরে বিস্তর হোটেল হয়েছে, বেড়েছে কর্মসংস্থানও। মেরিন ড্রাইভে জগন্নাথ মন্দির তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। ধর্মীয় পর্যটনেও কেল্লাফতে করবে দীঘা।” একই সুর অন্য ব্যবসায়ীদের কথায়। তাঁরা জানিয়েছেন, “রাজার নির্দেশিত পথে নিযুক্ত সেনারা যুদ্ধ করে, তাঁদের পরিশ্রম কদর পায় ঠিকই, তবে গোটা কৃতিত্বটাই রাজার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।” কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০-এর তুলনায় ২০২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দীঘা ও সংলগ্ন সমুদ্রভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটক বেড়েছে কোথাও ১২৩, কোথাও ৮০ আবার কোথাও ৭৫ শতাংশ। গত ১০ বছরে শুধুমাত্র দীঘা আর নিউ দীঘাতেই হোটেল হয়েছে ৩০০-এর বেশি। এখন দীঘায় মোট হোটেলের সংখ্যা ৭২১। শুধুমাত্র গত দু’বছরে চার এবং তিনতারা সহ নতুন হোটেল হয়েছে ৯৭টি। প্রতিটি হোটেলে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।