মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে জনগণের বাকস্বাধীনতা। এহেন রাষ্ট্রীয় রোষের কবল থেকে রেহাই পায়নি সংবাদমাধ্যমও। এবার ফের সেই চিত্র প্রকট হয়ে উঠল। কদিন সুর চড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, “সংবাদমাধ্যম নিরপেক্ষ নয়। তাই সাংবাদিক বৈঠক করি না!” এবার সামনে এল একটি সমীক্ষা রিপোর্ট, যেখানে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোদীর জমানায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বহুলাংশে খর্ব হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কেন্দ্রবিরোধী বা শাসকদল বিরোধী খবরে অনেক সময়ই কাঁচি চালানো হয়েছে। সে কাঁচি চালিয়েছে মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপিই। রিপোর্টে মোদীকে বিভাজনবাদী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদে বসার পর থেকে গত ১০ বছরে একটিও সাংবাদিক সম্মেলনও করেননি। এমনকি বিরোধী স্বর শোনা গেলেই সেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়েছে। যার উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রতিষ্ঠা প্রবীর পুরকায়স্থের গ্রেফতারির বিষয়টিও। যাকে নির্দোষ ঘোষণা করে মুক্তি দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
পাশাপাশি, রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মাপকাঠিতে ১৮০ দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৬১ নম্বরে। ২০১৪ সালে মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই অবনমন। তালিকায় ভারতের উপরে রয়েছে নেপাল, শ্রীলঙ্কা। এমনকি পাকিস্তানও। শুধু বাংলাদেশ ভারতের পিছনে রয়েছে। যদিও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মোদীর দাবি, “সাংবাদিকদের নিজস্ব পছন্দ আছে। সেই পছন্দের জন্য় তাঁরা পরিচিত। সংবাদমাধ্যম আর নিরপেক্ষ নেই। আমি কঠোর পরিশ্রম করতে চাই। গরিব মানুষের বাড়ি যেতে চাই। চাইলে আমি ফিতে কাটতে এবং আমার ছবি তোলাতে পারি, কিন্তু করি না। ঝাড়খণ্ডে ছোট জেলায় গিয়ে ছোট কোনও প্রকল্পে কাজ করি।” সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট সক্রিয় হলেও প্রধানমন্ত্রী হবার পর কোনও সাংবাদিক বৈঠক করেননি কখনও। যা নিয়ে বারবার উঠেছে বিতর্কের ঝড়।