মহানগরীতে দূষণ নিয়ন্ত্রণে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। তাতে সুফলও মিলেছে। বর্তমানে কলকাতার দূষণ অনেকটাই কমেছে বলে জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করে পরিবেশ মন্ত্রকের তথ্য তুলে ধরে এই দাবি করেছেন কলকাতার মেয়র। প্রসঙ্গত, কলকাতা শহরে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কলকাতা পুরসভা, যার মধ্যে বৃক্ষরোপণ থেকে শুরু করে ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি বাতিল করা। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কাজেও আনা হয়েছে পদ্ধতিগত পরিবর্তন। পাশাপাশি, মেয়র জানান, কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরসভা কলকাতাকে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। অথচ এমন অনেক শহর হয়েছে, যেগুলি ২৫ শতাংশ অর্জন করতেও ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু, কলকাতা শহরের বায়ুদূষণ ৪০ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা পুরসভা।
উল্লেখ্য, এবার সারা ভারতের মধ্যে কলকাতা শহর তৃতীয় দূষণমুক্ত শহর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই অবস্থায় আগামী দিনে কলকাতাকে পুরোপুরি দূষণমুক্ত করতে কলকাতাবাসীর সমর্থন চেয়েছেন মেয়র। পরিবেশ মন্ত্রকের রিপোর্ট তুলে ধরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমরা প্রমাণ করলাম যে বাতাসের গুণগত মান ভালো করা যায়। সবথেকে দূষিত শহরগুলির মধ্যে কলকাতা ছিল। আমরা কীভাবে কলকাতায় বাতাসের গুণগত মান ভালো করব, তা কিছুতেই ভেবে পাচ্ছিলাম না। বিশ্বের ১৩৭টি বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা শহরের মধ্যে প্রথম ২০-এর মধ্যে কলকাতা ছিল।” এ প্রসঙ্গে তিনি বোস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মেয়র জানান, অধ্যাপকের পরামর্শ মেনে কলকাতা পুরসভা নির্মীয়মাণ এলাকাগুলিকে ঢেকে দেওয়া, দূষণ সৃষ্টিকারী ১৫ বছরের পুরনো যানগুলিকে বাদ দেওয়ার মতো ব্যবস্থা নেয়। তারপরে সাফল্য এসেছে। “আগামী প্রজন্মের জন্য বাতাসকে ঠিক রাখতে হবে। তাই এর জন্য সবার সমর্থন প্রয়োজন”, বার্তা মেয়রের।