পুরোদমে চলছে লোকসভা নির্বাচন। শুক্রবার পর পর দুটি কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথমেই হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভা করলেন তিনি। তারপর তমলুকে দেবাংশু ভট্টাচার্যের সমর্থনে রোড-শো। হুগলির জনসভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। ‘‘ভোট দিতে যাওয়ার আগে মাথায় রাখবেন জনবিরোধী, বাংলাবিরোধী বিজেপি সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। ৪ঠা জুন ভারতবর্ষের বুকে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। আপনাদের ভোট ঐতিহাসিক ২০শে মে। ২০১১ সালের যে ২০ তারিখ ৩৪ বছরের বাম অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে প্রথম বার বাংলার মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন। আর এই ২০ তারিখ যখন আপনারা ভোট দিতে যাবেন, তখন আপনারা শুধু বিজেপির অত্যাচারের কথা মাথায় রেখে ভোট দেবেন। আমাদের শপথ নিতে হবে যাঁরা ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে, যাঁরা কালো কৃষি আইন এনে ৭০০ কৃষককে অত্যাচার করেছে, তাঁদেরকে যোগ্য জবাব দিতে হবে ২০ তারিখ। ভোট চাইতে এসে বিজেপি যদি টাকা দিতে আসে, তবে আপনি টাকাটা নিয়ে নেবেন। ওটা আপনার টাকা। পদ্ম ফুলের থেকে টাকা নেবেন, জোড়া ফুলে ভোট দেবেন’’, জনগণের উদ্দেশে জানান তিনি।
পাশাপাশি, অভিষেক বলেন, ‘‘এই ধনেখালি বিধানসভা থেকে ২০১৯ সালে আমাদের জয়ের ব্যবধান প্রায় ১২ হাজার ছিল। পরবর্তী কালে ২০২১ সালে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে অসীমা পাত্রকে জয়ী করেছিলেন আপনারা। আমি অসীমাদিকে সাক্ষী রেখে বলছি, এই গ্রামে যত রাস্তা দেখছেন, সব আমাদের সরকার করেছে। কেন্দ্র সরকার কিছু করেনি। আগামী দিন আমাদের প্রার্থী যদি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ব্যবধানে জেতে, তা হলে আমরা ৫০ কোটি টাকার গ্রামীণ রাস্তার কাজ তিন মাসের মধ্যে শুরু করে দেব। যে বিজেপি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে চায়, সেই বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দেবেন তো? ভয় পাবেন না। কেউ লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে পারবে না। আপনার লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করার ক্ষমতা কোনও নেতার নেই। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি। রাজ্যে যত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার থাকবে, তত দিন আমরা লক্ষ্মীর ভান্ডার বুক দিয়ে আগলে রাখব। প্রধানমন্ত্রী চাইলেও বন্ধ করতে পারবেন না।’’ পাশাপাশি হুগলির বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও একহাত নিয়েছেন অভিষেক। ‘‘লকেট চট্টোপাধ্যায় ভোট চাইতে গেলে জিজ্ঞেস করবেন, আপনার দলের নেতৃত্বে বলেছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেবেন, এ নিয়ে আপনার অবস্থান কী? আপনি কি চান লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাক, লকেটকে জিজ্ঞেস করবেন’’, বার্তা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ডের।