জোরকদমে চলছে নির্বাচনী প্রচার। আজ, শুক্রবার জোড়া কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথমে হুগলিতে জনসভা, তার পর তমলুকে রোড-শো করলেন তিনি। হুগলির সভা থেকে মোদী সরকার তথা বিজেপিকে কড়া ভাষায় একহাত নেন অভিষেক। বলেন, ‘‘ভারতে যাঁরা গরুর মাংস কেটে বিদেশে রফতানি করে, সেই সংস্থাগুলির থেকে ইলেক্টোরাল বন্ডে সব থেকে বেশি চাঁদা নিয়েছে বিজেপি। এটা আমি বললাম। ক্ষমতা থাকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুক।’’ পাশাপাশি, তিনি টেনে আনেন প্রজ্বল রেভান্না, ব্রিজভূষণ সিংহের প্রসঙ্গ। ‘‘কুস্তিগিরেরা দিল্লিতে বসে অবস্থান করছেন কেন, তাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁদের শ্লীলতাহানি করেছেন সাংসদ। সেই সাংসদের ছেলেকে বিজেপি এই লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়েছে। জেডিএসের প্রজ্বল রেভান্না, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মেয়েদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ধর্ষণ করেছেন। তাঁর জন্য প্রচার করে মোদী গিয়ে ভোট চাইছেন। রামের নামে ভোট চেয়ে রাবণদের সংসদে পাঠিয়ে আপনাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছেন’’, জানান অভিষেক।
পাশাপাশি, বিজেপিকে বিঁধে অভিষেক জানান, ‘‘মহিলাদের অপমান করেছে বিজেপি। সন্দেশখালি নিয়ে কী ভাবে বাংলার মানসম্মান নষ্ট করেছে? বিজেপি নেতাই বলছেন, সন্দেশখালিতে কোনও ধর্ষণ হয়নি। আমরা মহিলাদের দু’হাজার টাকা দিয়ে ভুয়ো অভিযোগ করিয়েছি তৃণমূলের নেতাদের গ্রেফতার করানোর জন্য। সারা দেশের কাছে বাংলার সম্মান নষ্ট করেছে। সন্দেশখালিতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল বলছেন প্রতি বুথে মদ খাওয়ানোর খরচ লাগবে পাঁচ হাজার টাকা। বাংলায় ৮০ হাজার বুথ আছে। তা হলে বিজেপির খরচ হবে ৪০ কোটি টাকা। আমি বলছি না, বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বলছেন। আবাস, ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না, মদের টাকা দিচ্ছে।’’ পাশাপাশি, তিনি মনে করিয়ে দেন মমতার জনমুখী প্রকল্পের কথাও। ‘‘মোদী সরকার ১২০০ টাকার গ্যাস দিচ্ছে, আর মমতা ১২০০ টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছে এটাই তফাত। আপনি জানেন, ২০ হাজার কোটি খরচে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হচ্ছে’’, বক্তব্য তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ডের।