নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর চটি ছিঁড়ে বিপত্তি। সভামঞ্চে সেই চটিতে সেফটিপিন লাগাতে গিয়ে সেই পিন মুখ্যমন্ত্রীর আঙুলে ফুটে গিয়ে হল বিপত্তি। যদিও তড়িৎ গতিতে এমন ‘ছোট’ বিপদ সামলে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গোপীবল্লভপুরে তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সোরেনের সমর্থনে জনসভা করতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বক্তব্য রাখার পরই তিনি বুঝতে পারেন, চটি ছিঁড়ে গিয়েছে। নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে বলেন, নতুন চটি আনিয়ে নেবেন। কিন্তু মমতা বাধা দিয়ে পালটা প্রশ্ন করেন, কোথা থেকে আনবে? আসলে, মুখ্যমন্ত্রী একটি বিশেষ ধরনের চটিই পরে থাকেন। তা সর্বত্র পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে তাঁর সংশয় হওয়াতেই ওই প্রশ্ন করেন। বলেন যে একটি সেফটিপিন পেলে তিনি তা চটিতে লাগিয়ে আপাতত ব্যবহার করবেন।
লোকসভা ভোটের প্রচারে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে প্রচার করছেন তৃণমূল সুুপ্রিমো। শুক্রবার তিনি গিয়েছিলেন গোপীবল্লভপুরের গজাশিমুল এলাকায় প্রচার করতে। সেখানে সভামঞ্চেই এই বিপত্তি হয়। চটি ছিঁড়ে যাওয়ার বিষয়টি বোঝার পর মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে তৃণমূল নেত্রী ইন্দ্রনীল সেনের উদ্দেশে বলেন, ”ইন্দ্রনীল, তুমি গান সেট করো। আমার চটিটা ছিঁড়়ে গিয়েছে। আমি একটু সেফটিপিন লাগিয়ে নিই। আসলে চটির দোষ নয়। ওর যা আয়ু, তার চেয়ে বেশি আমি হেঁটে ফেলেছি।” মুখ্যমন্ত্রীকে চটিতে সেফটিপিন লাগাতে সাহায্য করেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও মঞ্চে উপস্থিত তৃণমূলের অন্যান্য মহিলা নেত্রীরা।