বিক্ষোভ, গো ব্যাক স্লোগান, তুলকালাম। দিলীপ ঘোষ ময়দানে নামতেই ধুন্ধুমার। বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে উত্তপ্ত বর্ধমান দুর্গাপুরের টুললা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে উঠল লাঠিচার্জের অভিযোগ।
ভোট যুদ্ধের শেষ লগ্নে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ও বিজেপি প্রার্থী জড়িয়ে ধরলেন একে অপরকে। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ নাম ঘোষনার হওয়ার পর থেকেই বর্ধমান দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদকে সকাল থেকে রাত অব্দি বিরোধিতা করে গিয়েছেন। সমানে টক্কর দিয়েছেন কীর্তি আজাদ। আজ দুই নেতার কনভয় মুখোমুখি হতেই একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন দু’জন।
সোমবার ১৩ মে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। এরপর ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আরও তিন দফায়। ভোট গণনা হবে ৪ জুন। পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোট শুরু হয়েছে প্রথম দফা থেকেই। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সূচি অনুসারে চলছে মোট সাত দফার ভোট। প্রথম, দ্বিতীয় ও কিছুটা তৃতীয় দফাতেও মূলত ভোট ছিল উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রিক। তৃতীয় দফায় ব্যতিক্রম ছিল দক্ষিণবঙ্গের দুই কেন্দ্র জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ। চতুর্থ দফায় ভোট হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের মোট আটটি জায়গায়- বহরমপুর, বোলপুর, বীরভূম, কৃষ্ণনগর, আসানসোল, রানাঘাট, পূর্ব বর্ধমান, বর্ধমান-দুর্গাপুর। ভোট গণনা হবে জুন মাসের ৪ তারিখে। চতুর্থ দফায় মোট ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৯৬টি লোকসভা কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে আটটি আসন রয়েছে। বিজেপি, কংগ্রেস তৃণমূল সিপিআইএম-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মধ্যে ১৩ মে ভাগ্য নির্ধারণ হবে এরাজ্যের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর। সেই তালিকায় রয়েছেন- অধীর চৌধুরী, দিলীপ ঘোষ, মহুয়া মৈত্ররা।