দেশ জুড়ে শুরু চলছে ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে ৩ দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। একাধিক রাজ্যেই উনিশের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতির কম। যদিও প্রথম দু’টি দফার চেয়ে সামান্য হলেও ভোট-শতাংশ বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে তৃতীয় পর্বের প্রাথমিক হার। তাতেও বিশেষ আশ্বস্ত হতে পারছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। গো-বলয়ের রাজ্যগুলির মধ্যে মধ্যপ্রদেশে ৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু একমাত্র ওই মধ্যপ্রদেশ বাদে বিজেপির গড় উত্তরপ্রদেশ কিংবা গুজরাতে ভোটদানের হারে বিশেষ কোনও উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি।
প্রসঙ্গত, প্রথম দু’টি দফায় প্রাথমিক ভাবে ৬০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়েছিল। যদিও তা পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬ শতাংশে। তুলনায় গতকাল রাত ১১টা ৪০ পর্যন্ত গোটা দেশের ৯৩টি লোকসভা কেন্দ্রে গড়ে ৬৪.৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। চূড়ান্ত পরিসংখ্যানে তা প্রথম দু’টি পর্বকে ছাপিয়ে যাবে বলেই মনে করছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার যে ৯৩টি কেন্দ্রে নির্বাচন হয়, তার মধ্যে পাঁচ বছর আগের লোকসভায় বিজেপি জিতেছিল ৭১টি আসনে। এই তালিকায় গুজরাতের ২৬টি আসনও রয়েছে, যার সব ক’টিই গত বার জিতেছিল বিজেপি। ওই ফল ধরে রাখাই এখন বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
গতকাল সংবাদমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আজ তৃতীয় পর্বের ভোটদান। আমাদের দেশে দানের মাহাত্ম্য রয়েছে। সেই কথা মনে রেখে দেশবাসী যেন যথাসম্ভব বেশি করে ভোটদান করেন।’ প্রধানমন্ত্রী নিজে ভোট দিয়ে ওই আবেদন জানালেও তাঁর নিজের রাজ্য গুজরাতে ভোটের হার ছিল যথেষ্ট কম। আবার, উত্তরপ্রদেশের পরিসংখ্যান প্রথম দু’টি পর্বের মতোই বিজেপিকে অস্বস্তিতে রেখেছে। গতকাল দিনের শেষে উত্তরপ্রদেশে ভোট পড়েছে ৫৭.৩৪ শতাংশ। ফলে এ যাত্রাতেও বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বড় অংশ বুথমুখী হননি বলে প্রাথমিক বিশ্লেষণের পরে মনে করছেন দলীয় নেতৃত্ব। একই অবস্থা বিহারে। নীতীশ কুমারের রাজ্যে ৫৮.১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।