বৃহস্পতিবার রাতে রাজভবনের অস্থায়ী এক মহিলা কর্মী অভিযোগ করেন তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কমপক্ষে দুবার তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলেই দাবি নির্যাতিতার। আর তা নিয়েই এই মুহূর্তে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এই আবহেই উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এনডি তিওয়ারির একটি ঘটনার কথা আলোচনায় এসেছে। তিনি তখন অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল। স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলের স্টিং অপারেশন চালিয়ে দাবি করে রাজভবনে নিজের বিছানায় তিনজন মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় শুয়ে ছিলেন রাজ্যপাল তিওয়ারি।
ঘটনাটি ২০০৯-এর। কেন্দ্রে ক্ষমতায় তখন কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। রাজ্যেও ক্ষমতায় কংগ্রেস। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। রাজ্যপালের পদত্যাগের দাবিতে বিরোধী দল তেলুগু দেশম পার্টি এবং সিপিএম ও সিপিআই ছাড়াও একাধিক মহিলা সংগঠন রাজ্যপালের পদত্যাগের দাবিতে মাঠে নামে। তিওয়ারির পদত্যাগ চেয়ে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলকে চিঠি লেখেন সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত। তিওয়ারির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজভবন থেকে দাবি করা হয়, গোটা বিষয়টিই একটি চক্রান্ত। ছবি বিকৃত করে প্রচার করেছে ওই চ্যানেল। পাল্টা চ্যানেল কর্তৃপক্ষ চালেঞ্জ জানিয়ে বলে রাজভবনই প্রমাণ করুক ফেক ছবি দেখানো হয়েছে।
তবে একটি জনস্বার্থ মামলায় অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট চ্যালেনকে রাজভবনের ওই ছবি আর সম্প্রচার না করার নির্দেশ দেয়। তাতে অবশ্য রাজ্যপাল রেহাই পাননি। রাজ্যের কংগ্রেস সরকার গোটা ঘটনায় নীরব থাকলেও তাদের পাঠনো রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তিওয়ারিকে পদত্যাগ করতে বলে। তিনি রাজভবন ছেড়ে যান। পরবর্তীকালে আরও একবার বিতর্কে জড়ান ওই কংগ্রেস নেতা, যখন দিল্লির এক যুবক দাবি করেন তিনি এনডি তিওয়ারির সন্তান। তাঁর মায়ের সঙ্গে তিওয়ারির ঘনিষ্ঠতা ছিল। তিওয়ারি সেই দাবি নসাৎ করলে আদালতের নির্দেশে ডিএনএ টেস্ট করা হয়। তাতে দু’জনের ডিএনএ মিলে যায়। ফলে সেই যুবককে আইনত সম্তান হিসাবে মেনে নিয়ে সম্পত্তির ভাগ লিখে দিতে বাধ্য হন তিওয়ারি।