ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া কটাক্ষে বিঁধলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, বর্ধমানে সভা করতে এসে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সপাট জবাব দিলেন মমতা৷ পূর্ব বর্ধমানেরই রায়নার সভা থেকে তৃণমূলনেত্রীর জবাব, “কোথায় ছিলেন মোদীবাবু? শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আপনার কোনও প্রয়োজন নেই৷” কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারানো প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে এখন বাংলার রাজনীতিতে তুঙ্গে তোলপাড়। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, চাকরিহারা সব শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরই পাশে থাকবে রাজ্য সরকার। এদিন বর্ধমানের সভা থেকে চাকরিহারা যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী৷ নরেন্দ্র মোদী বলেন, আদালতের নির্দেশে যে যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের পাশে থেকে আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি৷ এর জন্য রাজ্য বিজেপির সভাপতিকে তিনি লিগল সেল তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
আর প্রধানমন্ত্রীর এহেন ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই রায়নার সভা থেকে গর্জে ওঠেন মমতা। “চাকরি খেতে দেব না। আমরা আদালতে লড়ছি। কোথায় ছিলেন মোদী বাবু? ২৬ হাজার চাকরি তো আপনার দল খেয়েছে৷ সিপিএমকে টাকা দিয়ে দাঁড় করিয়েছে আপনার দল৷ লজ্জা করে না? আপনার কোনও প্রয়োজন নেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের৷ এরা সাপেও চুমু খায়, ব্যাঙেও চুমু খায়৷ চাকরিও খাবে, আবার বলবে পাশে আছি৷ ত্রিপুরায় সিপিএম আমলে দশ হাজার শিক্ষকরে চাকরি বাতিল হয়েছিল৷ বলেছিলেন ক্ষমতায় এলে চাকরি ফিরিয়ে দেব, দিয়েছেন? ভোট এলে মনে পড়ে৷ মানুষের দগ্ধ জায়গাটায় খোঁচা দেন৷ দুর্নীতি কী করে করতে হয়? তার মাস্টারমাইন্ড বিজেপি-র ওয়াশিং মেশিন। মোদি বাবু ভালই প্ল্যান করেছেন। আপনার দাম আপনি নিজে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। আর একশো দিনের কাজের শ্রমিকদের টাকা দিচ্ছেন না। এবারে জিতলে খালি উনি থাকবেন। দেশও থাকবেনা আর সংবিধান থাকবে না। নিজের অধিকার চাইলে মধু-বিধুকে ভোট দেবেন না। লুটেরা, ডাকাত, চোরদের ক্ষমা করবেন না। চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই, আর চাকরি কেড়ে নিচ্ছে”, স্পষ্ট বক্তব্য তৃণমূল নেত্রীর।