রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানায়। এই অভিযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই সোচ্চার হয়েছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এবার সোচ্চার নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। রাজ্যপালের উদ্দেশে কটাক্ষের সুরে তাঁর মন্তব্য, সন্দেশখালির মহিলারা কী জানেন যাঁর কাছে তাঁরা নিগ্রহের অভিযোগ করেছিলেন, তিনিও একই দোষে দুষ্ট!
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে শশী পাঁজা বলেন, “যে ঘটনাটা ঘটেছে, যে মহিলা আক্রান্ত, তাঁর কান্নায় আমরা বিস্মিত, স্তম্ভিত। তিনি গরিব, তাঁর অস্থায়ী চাকরির স্থায়ীকরণ চেয়েছিলেন আর তার বদলে যে জঘন্য ঘটনাটি ঘটেছে, ভয়ঙ্কর। রাজভবন, রাজ্যপালের চেয়ারের একটা গরিমা থাকে। সেই জায়গায় যদি এরকম অভিযোগ ওঠে, সেটা লজ্জার। রাজ্যপালের পক্ষ থেকে কিংবা তাঁর অফিসের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হচ্ছে।”
এরপরই শশী পাঁজা বলেন, “রাজ্যপাল তো সন্দেশখালি গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বলে এসেছিলেন মহিলার অসম্মান, অপমান করা যায় না। তা মেনে নেওয়া হবে না। সন্দেশখালির মহিলাদের অভিযোগ শুনেছিলেন তিনি।” শশীর খোঁচা, “যাঁরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন সে সময় আপনাকে, তাঁরা কি জানেন আপনার বিরুদ্ধেও সেই একই অভিযোগ?”
মহিলার অভিযোগের বর্ণনা দিতে গিয়ে শশী পাঁজা বলেন, “পিস রুমে ওই মহিলা তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে ফোনে কাঁদতে কাঁদতে কথা বলছিলেন। এবং এই ধরনের অভিযোগ আরও কয়েকজন মহিলা করছেন। এই একবার নয়, একাধিকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।”
ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শশী পাঁজা। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল এখন বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নাকি রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। তাঁর যদি বিবেক থাকে তাহলে নিজে কি জবাব দেবেন সেটা দেখুন। সংবিধানের দায়িত্ব কর্তব্য নিয়ে কথা বলা আছে। কিন্তু এটা কি তাঁর সাংবিধানিক অধিকার ছিল? রাজ্যপাল এই ইমিউনিটি পায় কী করে, একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে আমার জিজ্ঞাসা।”