রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনের অস্থায়ী এক মহিলা কর্মীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে এই মুহূর্তে তোলপাড় রাজ্য। তৃণমূল বিষয়টি নিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তবে রাজ্যপালের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এটা স্রেফ নির্বাচনী কৌশল। ভোটের মুখে তাঁকে অপদস্থ করতেই এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রায়নার সভা মঞ্চ থেকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তুলেছেন আরও বড় অভিযোগ। তিনি বলেছেন, ”একটা ছোট্ট মেয়ে রাজভবনে চাকরি করত। তাঁর সঙ্গে কী ব্যবহার করেছেন রাজ্যপাল? আমার কাছে একটা নয়, হাজারটা ঘটনা এসেছে কিন্তু আমি কোনও দিন কিছু বলিনি। কিন্তু কালকে মেয়েটির কান্না হৃদয় বিদারক।”
মমতা জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের ওই মেয়েটি আর রাজভবনে কাজ করতে যাবেন না বলে বলেছেন। তৃণমূল নেত্রী জানান, ”আমি মেয়েটির কান্নার ভিডিও দেখেছি মন দিয়ে। ও আর সেখানে কাজ করতে যেতে চাইছে না। ভয় পাচ্ছে, আবার যদি এমন কিছু হয়। যখন তখন ডেকে খারাপ ব্যবহার করবে, অসম্মান করবে।” রাজ্যপাল রাজভবনের কর্মী ওই মেয়েটিকে পরপর দু’বার শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁর বক্তব্য, আগে নিজের দিকটা দেখুন, তারপর সন্দেশখালি নিয়ে বলবেন!
তিনি এই প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে বলেন, ”সেখানেই তো কাল আপনি থেকে এলেন। একটা কথাও তো বললেন না। আপনি আবার মা-বোনেদের সম্মান নিয়ে কথা বলেন! আপনার দাঁতের পাটিটাই খুলে পড়ে যাওয়া উচিত মিথ্যে কথা বলার জন্য। পাশাপাশি সন্দেশখালি নিয়ে মমতার দাবি, সেখানে জমি-ভেড়ি নিয়ে সমস্যা ছিল, সেই সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।