দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে প্রথম দু’দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। এর মধ্যেই দুশ্চিন্তা মাথাচাড়া দিয়েছে পদ্মশিবিরের অন্দরে। প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় ভোটের হার কমে হওয়ায় বিজেপি বাধ্য হয়েছিল মেরুকরণের তত্ব ভোটের প্রচারে আবার করে ঢোকাতে। মেরুকরণ নিয়ে বক্তৃতা সুর করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর ২৬শে এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার ভোটেও মানুষ সাড়া দেয়নি। নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত হিসেবে দ্বিতীয় দফার ভোটের হার ৬৪ শতাংশ। এই কেন্দ্রগুলিতে আগেরবার যা ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ। গেরুয়া শিবিরের সব নেতার মুখেই যেন এখন ফুটে উঠছে মুসলিম-বিদ্বেষ। বিজেপির চিন্তা আরও বেড়েছে যখন চারটি ডাবল ইঞ্জিন রাজ্য, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র-এ ভোটের হার কমেছে। বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশের মতো, যা কিনা প্রথম দফার ভোটের চেয়েও ৬ শতাংশ কম। বিহারেও ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে আরও কম, সাড়ে ৫৪ শতাংশের মতো। মধ্যপ্রদেশে সামান্য বেশি, সাড়ে ৫৭ শতাংশ।
স্বাভাবিকভাবেই, কম ভোটের হার নিয়ে সব রাজনৈতিক মহলেই চলছে নানান বিশ্লেষণ। তবে মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে এখনও তেমন একটা উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না, বা ভোটের কোনও হাওয়াই ওঠেনি, এটা বোঝা যাচ্ছে। বিজেপির একাংশ মনে করছে, সাধারণ মানুষ বোধহয় আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন এবং কট্টর সমর্থকরা ছাড়া অন্যরা ভোট দিতে যাচ্ছেন না। পাশাপাশি, বিরোধীরা মনে করছে, মোদীর ম্যাজিক নিয়ে মানুষের উৎসাহ শেষ বলেই অনেক ক্ষেত্রে ভোটের হার নিম্নমুখী। যার প্রমাণ হিসেবে বলা হচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে ভোটের হার কম। যা ঘুম কেড়েছে বিজেপির।