শুরু হয়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে প্রথম দু’দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। এবারের ভোটে বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত বিধানসভা কেন্দ্র হল মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি। আর এখানে নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে নারীশক্তি, এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ওই বিধানসভার অধিকাংশ বুথেই পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ভোট পড়েছে বেশি। যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল। দার্জিলিং লোকসভা আসনের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি হল মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি। মোট বুথ ৩২৫। যারমধ্যে বহু বুথেই পুরুষদের চেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন মহিলারা। মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি পদ্মের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ঊনিশের লোকসভা ও একুশের বিধানসভায় এই কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল বিজেপি।
উল্লেখ্য, মাঞ্ঝা প্রাথমিক স্কুলে ১ নম্বর বুথে ভোটার সংখ্যা ৯৪৪। পুরুষ ৪৭০ ও মহিলা ৪৭৪ জন। ভোট দিয়েছেন ৭৫৬ জন। যার মধ্যে মহিলা ৩৮২ এবং ৩৭৪ পুরুষ জন। মারাপুর এসএসকে’র ২ নম্বর বুথে ৬২৬ জন ভোটারের মধ্যে ৫০৫ জন ভোট দিয়েছেন। মহিলা ২৯১ এবং পুরুষ ২১৪ জন ভোট দিয়েছেন। বেলগাছি হিন্দি হাইস্কুলের ৩ নম্বর বুথে ৫৮১ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৪৫০ জন। মহিলা ও পুরুষ যথাক্রমে ২৪৩ ও ২০৭ জন। এমন বুথের সংখ্যা অনেক। সব মিলিয়ে ওই কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৭টি। যার মধ্যে মহিলা ভোট ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৬৫২ এবং পুরুষ ভোট ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৪১৫টি। পুরুষরা কয়েকটি বুথে সামান্য ভোটে এগিয়েছিলেন। মহিলাদের পাল্লা ভারী দেখে তৃণমূল রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী। তৃণমূলের মাটিগাড়া-১ সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি অভিজিৎ পালের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের ক্ষমতায়ন করেছেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠী গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মহিলাদের সহযোগিতা করেছে। মহিলাদের নেতৃত্বেই এবার তৃণমূল মাটিগাড়া-নকশালবাড়িতে এগিয়ে থাকবে বলে আশাবাদী দলীয় নেতৃত্ব। আর এর আঁচ পেতেই দুশ্চিন্তা মাথাচাড়া দিয়েছে গেরুয়া-নেতৃত্বের অন্দরমহলে।