পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের কেন্দাপাড়ায় জনজাতিদের শারুল উৎসব চলছে। আদিবাসী ভূমিজ সমাজ যাকে বলে হাদী বোঙ্গা। মঙ্গলবার সেই সভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আমন্ত্রণকে ঘিরে কাণ্ড ঘটে গেল।
বান্দোয়ানের জঙ্গলে এখন গাছে গাছে নতুন শালপাতা ধরেছে। এই নতুন পাতাকে আহ্বানের জন্যই শারুল উৎসবের আয়োজন করা হয়। ভূমিজ সমাজের একটা শিবির এই শারুল উৎসবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল শুভেন্দুকে। কিন্তু স্থানীয় সূত্রে খবর, জনজাতিদের এই উৎসব বরাবরই রাজনীতি বর্জিত থাকে। একে লোকসভা ভোট চলছে। তার উপর শারুল উৎসবে বিজেপি নেতার আমন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সমাজের মধ্যেই অসন্তোষ দানা বাঁধে। সর্বভারতীয় ভূমিজ সমাজের প্রতিনিধি ধনঞ্জয় সর্দার সোমবার এ ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠকে করে পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দেন, জনজাতিদের এই উৎসবকে নিয়ে রাজনীতি করা চলবে না। তাঁর এও ইঙ্গিত উৎসবের মঞ্চকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহারের চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ ওই উৎসব মঞ্চে যাওয়ার কথা ছিল শুভেন্দুর। কিন্তু দেখা যায়, সেই সময়ে হ্যাঙ্গার তথা সভাস্থল ফাঁকা ধূ ধূ করছে। একে তীব্র দাবদাহ। তার উপর এলাকাবাসীর অনেকের বক্তব্য, শারুল উৎসবের রাজনীতিকরণের অপপ্রয়াস তাঁরা বানচাল করে দিয়েছেন। সমাজের লোকজনই যায়নি সেখানে।
বিকেলে এ ব্যাপারে টুইট করে শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “সভায় লোক নেই, দশ হাজারের আয়োজন, ছিল আড়াইশ থেকে সাড়ে তিনশ। বীণাপানি হোটেলে বসে বসে শেষে পালাল শুভেন্দু। শারুল উৎসবে যেতে চেয়েছিল ও। ভূমিজ সমাজগুলি তাকে বয়কটের ডাক দেয়”।