ভোটের এগারো দিন পর প্রায় ৬ শতাংশ বাড়ল ভোটদানের হার! এহেন ভৌতিক কান্ডে কারচুপির অভিযোগ আনছেন বিরোধীরা। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয় ১৯ এপ্রিল। তারপর কেটে গিয়েছে ১১ দিন। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণও মিটে গিয়েছে। কত শতাংশ ভোট পড়ল, তা এতদিনেও জানিয়ে উঠতে পারেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার সরব হয় বিরোধীরা। চাপের মুখে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কমিশন একসঙ্গে দু’দফার ভোটদানের চূড়ান্ত হার প্রকাশ করে। কমিশন জানায় প্রথম দফায় ৬৬.১৪ শতাংশ ও দ্বিতীয় দফায় ৬৬.৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু ভোটগ্রহণের দিন সন্ধ্যা সাতটায় দেখানো প্রাথমিক হিসেবে অনুযায়ী, দুই হার ছিল যথাক্রমে ৬০ ও ৬০.৯৬ শতাংশ। দু-ক্ষেত্রেই পরিসংখ্যানের ফারাক প্রায় ৬ শতাংশের বেশি।
এমনটা সাধারণত দেখা যায় না। সামান্য ফারাক থাকে তবে দুটো ক্ষেত্রেই এত ফারাক! কারচুপির আশঙ্কা করছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। তাদের দাবি, ভোট শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই তথ্য প্রকাশ করা হত আগে। এবার সময় লেগে গেল ১১ দিন। এমনটা নজিরবিহীন। এত সময় লাগা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিরা।
প্রতিটি আসনে মোট নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা নিয়ে কোনও চূড়ান্ত তথ্য নেই কমিশনের ওয়েবসাইট বা অ্যাপে। ভোট বিশেষজ্ঞ থেকে বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা অনেকেই এতে অবাক হয়েছে। সংসদীয় আসনে নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা জানা না থাকলে, ভোটদানের হারের অর্থ কী! এর আগে এই তথ্যগুলি চাইলেই পাওয়া যেত। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনের প্রশ্ন, ‘দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের চারদিন বাদে চূড়ান্ত ভোটদানের হার প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। চারদিন আগে প্রকাশিত প্রাথমিক পরিসংখ্যান থেকে তা লাফিয়ে ৫.৭৫ শতাংশ বেড়েছে। এটা কি স্বাভাবিক?’ ডেরেক নিশানা করেছেন মোদীকেও। তিনি লিখছেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে ধ্বংস করে দিতে সংসদে আইন পাল্টে ফেলেছেন মোদী। কমিশনের তো প্রতি দফা ভোটের পর সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা। সেটাই বা হচ্ছে না কেন?’