সোমবার হাওড়ার বাগনান থানার বাকসি এলাকায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে এবার দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়ক অরুনাভ সেন। বাদ গেলেন না তাঁর দেহরক্ষীও। রডের আঘাতে মাথা ফাটল তাঁর। বর্তমানে আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন তিনি। পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১১ জন।
ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাগনান কলেজ মোড় এলাকায়। অভিযোগের আঙুল সিপিএমের দিকে। জানা গিয়েছে, অভিষেকের সভা শেষ করে কলেজ মোড়ে একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। চলছিল আড্ডাও। অভিযোগ, সেসময় আচমকাই রড, লাঠি, চেন নিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। উত্তেজনার খবর পৌঁছয় বিধায়ক অরুনাভ সেনের কাছে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি। অভিযোগ, বিধায়ক পৌঁছতেই দুষ্কৃতীরা তাঁকেও ঘিরে ধরে। লাঠি নিয়ে চড়াও হয় তাঁর ওপর। বিধায়ককে বাঁচাতে যান তাঁর নিরাপত্তারক্ষী রাজকুমার মাঝি। অভিযোগ, তাঁকে রড-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। রডের আঘাতে রাজকুমারবাবুর মাথা ফাটে। আঘাত লাগে চোখেও।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় একদল তৃণমূল কর্মী। আর লোকজন জড়ো হতে দেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। বিধায়ক অরুনাভ সেনের দাবি, অভিযুক্তরা সকলেই সিপিএম করে। তিনি বলেন, ‘বাগনান কলেজ মোড়ে আমাদের কিছু ছেলে চা খাচ্ছিল। আচমকা সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওদের উপর হামলা করে। সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। এই খবর পেয়ে আমি যখন ছুটে যাই আমাদের উপরও আক্রমণ করে। আমার দেহরক্ষীকে মারধর করে। ওর চোখে লেগেছে। আসলে সাধারণ মানুষের জনপ্লাবন দেখে ওরা ভয় পেয়েছে। সেই কারণে সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ করছে।’ অন্যদিকে, এই ঘটনায় আহত ১১। বাগনান হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।