ড্রাগস অ্যান্ড ম্যাজিক রেমেডিজ অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হল পতঞ্জলি কর্তা রামদেব এবং বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে। এরই সঙ্গে তাদের সংস্থার মোট ১৪টি পণ্যের লাইসেন্সও বাতিল করে দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। গতকাল এই খবর প্রকাশ্যে এলেও উত্তরাখণ্ড সরকার গত ১৫ এপ্রিলই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছিল বলে জানা যাচ্ছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পতঞ্জলির যে সকল পণ্যের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে, সেগুলি হল – স্বসারি গোল্ড, স্বসারি ভাটি, ব্রঙ্কোম, স্বসারি প্রবাহী, স্বসারি আভালেহ, মুক্তা ভাটি এক্সট্রা পাওয়ার, লিপিডম, বিপি গ্রিট, মধুগ্রিত, মধুনাশিনী ভাটি এক্সট্রা পাওয়ার, লিভামৃত অ্যাডভান্স, লিভোগগ্রিট, আইগ্রিট গোল্ড এবং পতঞ্জলি দৃষ্টি আই ড্রপ।
উল্লেখ্য, পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা চলছে। এই আবহে আদালত অবমাননার জন্যে রামদেব এবং বালকৃষ্ণ বারংবার ভর্ৎসনার শিকার হয়েছেন শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চেয়েও রেহাই পাননি তাঁরা। পরে সংবাদপত্রে বড় করে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন রামদেব এবং বালকৃষ্ণ। আর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা চলাকালীনই পতঞ্জলির বিরুদ্ধে এই কড়া পদক্ষেপ করল উত্তরাখণ্ড সরকার।
পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় বুধবার ২৪ এপ্রিল সংবাদপত্রে নতুন করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা রামদেব এবং বালকৃষ্ণ। এর আগেও আদালতের কাছে একাধিকবার ক্ষমা চেয়েছিলেন রামদেব এবং বালকৃষ্ণ। তবে তাদের ক্ষমা চাওয়ার আকার এবং ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল শীর্ষ আদালত। এই আবহে গত বুধবার ফের জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হয় রামদেবকে।
পতঞ্জলির সেই ‘জনসাধারণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনায়’ লেখা হয়েছিল, ‘ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের সামনে মামলার প্রেক্ষিতে নির্দেশ অমান্য করার জন্য নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইছি। আমরা ২২.১১.২০২৩ তারিখের সভা/সংবাদ সম্মেলন করার জন্য নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমাদের বিজ্ঞাপন প্রকাশের ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এই ধরনের ত্রুটির পুনরাবৃত্তি হবে না। আমরা আদালতের নির্দেশনা মেনে চলার অঙ্গীকার করছি।’