মাঝখানে ছিল দু’দিনের বিরতি। তারপর রাজ্যজুড়ে ফের স্বমহিমায় ফিরল তাপপ্রবাহ। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলবে তা। এমনকী উপকূলের জেলা বা উত্তরবঙ্গও ছাড় পাবে না তার কবল থেকে। গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে ২ ডিগ্রি এবং পশ্চিমের জেলায় ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত পারদ উত্থানের ইঙ্গিত রয়েছে আগামী ৪৮ ঘন্টায়। সেই পারদ আগামী ৭ দিনে আর পতনের কোনও সম্ভাবনা নেই। বুধবার তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান। আজ বৃহস্পতিবার সেই তালিকায় নাম লেখাতে চলেছে বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম এবং পূর্ব বর্ধমান। মডারেট বা মৃদু তাপপ্রবাহের কবলে গতকাল পড়েছে কলকাতা। সঙ্গে উত্তরবঙ্গের মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমান মডারেট বা মৃদু তাপপ্রবাহের কবলে পড়ে গিয়েছে। এই সমস্ত জেলায় শুক্রবারের মধ্যে আরও ২ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়বে। কলকাতার পারদ রবিবারের পর স্পর্শ করতে পারে প্রায় সাড়ে ৪১ ডিগ্রি।
পাশাপাশি, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এই ৩ জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বাকি উত্তরবঙ্গে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে। কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলাতে ফিল লাইক তাপমাত্রা বেড়ে মানুষকে অস্বস্তি দেবে। ১৯৫৪ সালের ২৭ এপ্রিল কলকাতার আলিপুরে তাপমাত্রা ছিল ৪১.৭ ডিগ্রি। সেই রেকর্ড চলতি এপ্রিলে ভেঙে যাওয়ার মতো কোনও পূর্বাভাস এখনও পর্যন্ত নেই। ২০০৯ এবং ২০১৬ সালে কলকাতায় এপ্রিলের তাপমাত্রা প্রায় ৫ থেকে ৬ দিন ৪০ এর ওপর ছিল। তবে সেই দুটি বছর যথাক্রমে লা নিনা এবং এল নিনো বছর ছিল। গতকাল দিনের তাপমাত্রা ৩৯.১ ডিগ্রি থেকে বেড়ে ৪০.৫ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫.২ ডিগ্রি বেশি। অর্থাৎ কলকাতা গতকাল তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে। কাল রাতের তাপমাত্রা ২৯.২ থেকে কমে ২৮.৮ ডিগ্রি। যা আজ রাতে ফের বেড়ে আগের জায়গায় চলে যাবে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৮১ থেকে ৩০ শতাংশ। যা দিনের বেলায় লু এর পরিস্থিতির সূচক রয়েছে বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা।