প্রাথমিকের প্রায় সাড়ে সাত বছরের চাকরি ছেড়ে এসএসসি দিয়ে হাইস্কুলে পড়াতে এসেছিলেন হুগলির কার্তিক ধাড়া। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেওয়ার পর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে তাঁর। ডবল মাস্টার্সের ডিগ্রি পকেটে। বাবা সেলুন চালিয়ে সংসার চালান। বাম আমলে প্রাথমিকে চাকরি পান। কিন্তু হাইস্কুলের চাকরি পেয়ে হুগলির চন্দননগরের ছেলে এসে ওঠেন শিলিগুড়িতে। ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রাথমিকের চাকরি ছেড়ে হাইস্কুলে যোগ দেন। ৭ বছরের বেশি সময়ের নিশ্চিত চাকরি ছেড়ে, বাড়ি ছেড়ে এসেছিলেন শিলিগুড়ি। মঙ্গলবারই বাড়ি ফিরছেন বলে জানালেন।
কার্তিক ধাড়ার কথায়, “খুব বড় ধাক্কা। আমরা যারা যোগ্য, তাদের কাছে তো এই রায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো। সবাইকে বাতিল করে দিল, তাতে তো আমরাও খাদে পড়লাম। কী করব তো বুঝতেই পারছি না। এবার লোকজনও অন্য চোখে দেখবে আমাদের। কেউ তো বিশ্বাসই করবে না আমরা যে যোগ্য।”
বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা। বাবার সেলুন আছে। কার্তিক গ্র্যাজুয়েশন করার পর বাবা বলেছিলেন, এবার একটু কাজবাজের খোঁজ করতে। সেলুন চালিয়ে আর তিনি একা এতকিছু টানতে পারছেন না। কার্তিকের কথায়, “আমি সে সময় টিউশন করে পড়াশোনা করি। এরপর এম.কম করে প্রাথমিকের ফর্ম ফিলআপ করে হুগলির হরিপালে একটা স্কুলে চাকরিও পাই। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে জয়েন করি।”