এসএসসি মামলায় ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হল। ২০১৬ সালের প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে। প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে চার সপ্তাহের মধ্যে। এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার অনেক ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র এসএসসির ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। যেগুলি এখনও আপলোড করা হয়নি, সেগুলি দ্রুত আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উত্তরপত্র যাতে জনগণ যাতে দেখতে পান, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘আদালত রায় দিয়েছে। তার নানা দিক আছে। অনভিপ্রেত রায়। আইনজীবী-সহ এসএসসি সবটা খতিয়ে দেখছে। কিছু লোক ভুল করেছিল। ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করে নেচে বেড়াচ্ছিল। যারা অন্যায় করেছে তাদের শাস্তি হোক। যারা যোগ্য, তাদের চাকরি হোক। কিন্তু গোটাটাকে এক বন্ধনীতে রাখার চেষ্টা করেছে কেউ কেউ। কেউ কেউ পাপ করেছে বলে আজ সকলের ভোগান্তি হল’।
ত্রিপুরায় বাম আমলের প্রসঙ্গ টেনে কুণাল আরও বলেন, ‘১০ হাজারের বেশি শিক্ষকের প্যানেল বাতিল হয়। ভোটের সময় বলে অনেকে এটা নিয়ে কুৎসা করবে। যারা যোগ্য তাদের কী হবে? আইনি খুঁটিনাটি দেখতে হবে। বিরোধীরা নানা সময় বাধা দিচ্ছে। সরকার সব সাবধানতা রেখে কাজ করবে। যারা অন্যায় করেছে তাদের এক বিচার। আর যারা যোগ্য তাদের অনিশ্চয়তায় ফেলে দেওয়া এটা দুর্ভাগ্যজনক। যে বা যারা অপকর্ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। তারাই ছড়ি ঘুরিয়েছে সেই সময়। কিছু বলতে গেলেই অপ্রিয় হয়ে যেতে হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ গুটিকয়েকের জন্য এই অবস্থা এল। চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে। এখন সরকার সেই ব্যবস্থা নিয়েছে। বাম জমানাতেও দলদাসদের চাকরি হয়েছে। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করে গিয়েছেন, তা কোনও ভাবে হতে পারে না’।