ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার প্রতি দুয়োরানিসুলভ আচরণ অব্যাহত রেখেছে মোদী সরকার। একাধিক বার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। একশো দিনের কাজের টাকা থেকে আরম্ভ করে আবাস যোজনা, পাওনা টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাবাসী। এবার এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র বলে বসলেন, “টাকা আটকে ঠিক করেছে মোদী সরকার।” বিজেপি প্রার্থীর এহেন মন্তব্যের জেরে শুরু হয় বিতর্ক। সংবাদ মাধ্যমের সামনে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সাফ জানান, ২ বছরের জন্য বাংলার ৫৯ লক্ষ শ্রমিককে তাঁদের মজুরি থেকে বঞ্চিত করার সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক ছিল। বাংলার শ্রমিকদের বঞ্চনাকে পাত্তা না দিয়েই মোদী সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি প্রার্থী ফের একবার প্রমাণ করলেন যে বিজেপি বাংলা বিরোধী দল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, বিজেপি প্রার্থীর ওই মন্তব্যের ভিডিওকে হাতিয়ার করে সরব হয় তৃণমূল। এক্স হ্যান্ডেলে তারা পোস্ট করে জানায়, “বাংলা বিরোধীকে চিনে নিন।” তৃণমূলের অভিযোগ, শ্রমিকদের, তাঁদের প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। বাংলার ১০০ দিনের টাকা ও আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে রেখেছে মোদী সরকার। বিজেপির প্রার্থী রেখা কার্যত স্বীকার করে নিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতাদের কথা শুনেই বাংলার বকেয়া আটকে রেখেছে কেন্দ্র। তৃণমূলের অভিযোগ, আর্থিক বঞ্চনার মধ্যে দিয়ে বাংলার দূর্দশার মধ্যে ঠেলে দেওয়াই মোদী সরকারের এক এবং অদ্বিতীয় লক্ষ্য। ২০২১-র নির্বাচনে বাংলাকে দখল করতে পারেনি বিজেপি। তারপরই রীতিমতো প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু তারা। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও নিজের উদ্যোগে বাংলার শ্রমিকদের বকেয়া মিটিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।