আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা। তারপরই লোকসভা নির্বাচন। সরগরম রাজনীতির আবহ। ইতিমধ্যেই শেষ লগ্নের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। জোরকদমে চলছে প্রচার ও জনসংযোগ। এবারের লোকসভা ভোটে যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সায়নীকে জেতাতে বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৬৫ হাজার ভোটের লিড দেওয়ার টার্গেট বেঁধে দিয়েছে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। একুশের বিধানসভা ভোটে বারুইপুর পশ্চিম কেন্দ্রে ৬২ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভায় মজবুত সংগঠন ও এলাকার উন্নয়নই তৃণমূলের মূল অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের দাবি, সম্ভবত সিপিএমের সঙ্গেই এবার মূল লড়াই হবে। তৃণমূল নেতৃত্বর বক্তব্য, বিরোধীদের কোনও সংগঠনই নেই। অধিকাংশ পঞ্চায়েতেই বড় লিড পাবে তৃণমূল।
এপ্রসঙ্গে বারুইপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ রায়চৌধুরীর দাবি, পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডেই লিড দেবে তৃণমূল। বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভায় ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও বারুইপুর পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ড রয়েছে। তৃণমূলের দখলে রয়েছে সবগুলোই। আম জনতাও বলছে, তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তিই জয়-পরাজয়ে বড় ফ্যাক্টর। বিজেপির কার্যত কিছুই নেই। সিপিএম কিছুটা হলেও থাকার চেষ্টা করছে। বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জনসংযোগে বরাবরই এগিয়ে থাকেন। ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনে বারুইপুর পশ্চিম কেন্দ্র থেকে ৩৮ হাজারের বেশি লিড ছিল তৃণমূল। ২০২১-র বিধানসভা ভোটে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৬২ হাজারের বেশি হয়। পাশাপাশি মহিলা ভোটও বড় ভূমিকা নেবে, আশাবাদী ঘাসফুল শিবির।