আর কিছুদিন পরেই দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন। রবিবার, অর্থাৎ ১৪ই এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে বিজেপির ইস্তাহার। ছিয়াত্তর পাতার ইস্তাহারে, নরেন্দ্র মোদীর তিপ্পান্নটি ছবি রয়েছে! ইস্তাহারে সাধারণত প্রতিশ্রুতিই থাকে কিন্তু আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত বিজেপির ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি বাড়ন্ত হয়ে রইল। দেশের মানুষের দাবি দাওয়ার প্রতিফলন মেলা ভার। ইস্তাহারজুড়ে কেবলই মোদীর পছন্দের ইস্যুর দেখা মিলল। ইস্তাহারে কোনও সুনির্দিষ্ট আর্থিক দিশা নেই। মোদীর আমলে চরমে পৌঁছেছে ধনী-গরিবের আর্থিক অসাম্য। তা মেটানোর কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। বিজেপির ইস্তাহারে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব শব্দ দুটি কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে। দেশে বেকারত্বের হার মাত্র ছাড়িয়েছে, তা মেটানোর কোনও প্রতিশ্রুতি মিলল না বিজেপির ইস্তাহারে। স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার এখন সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধির জেরে আমজনতা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তা কমানোর কোনও উল্লেখ নেই বিজেপির ইস্তাহারে।
পাশাপাশি, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক কোনও নীতি বা স্পষ্টতা নেই। বাণিজ্য ঘাটতি, আমদানি ও রপ্তানির ফারাক মিটবে কীভাবে, তার উত্তর নেই ইস্তাহারে। সম্প্রতি ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা জনগণের মধ্যে বিতরণ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদী। কিন্তু ইস্তাহারে তার উল্লেখ নেই। সরকার কর্মসংস্থানে কেমন ভূমিকা নেবে, আদৌ নেবে কিনা, তার কোনও দিশা পাওয়া যায়নি। সিএএ সংক্রান্ত বিষয়েও সুস্পষ্ট তথ্যের অভাব রয়েছে। মোদী তিন কোটি বাড়ি তৈরির কথা বলছেন। দেশের কোটি কোটি গৃহহীনদের কী হবে, তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ইস্তাহার নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। একে ‘জুমলা পত্র’ বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দলগুলি।