বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যবাসীর জন্য একাধিক জনমুখী প্রকল্পের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, জনসাধারণের উন্নতিকল্পে এই প্রকল্পগুলি বড় অবদান রেখেছে ও ব্যাপক জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছে। এদের মধ্যে অন্যতম ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। সংশ্লিষ্ট সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে ২ কোটি ১১ লক্ষ মহিলা আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে তফসিলি জাতি এবং জনজাতির শ্রেণির জন্য আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি করে মাসিক ১,২০০ টাকা এবং অন্যদের জন্য এই সহায়তা বৃদ্ধি করে ধার্য করা হয়েছে মাসিক ১০০০ টাকা।
আর এমতাবস্থায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তিন মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন বিজেপি নেত্রী। কোচবিহারের একটি জনসভা থেকে বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রীকে এই কথা বলতে শোনা যায় বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তাঁর বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার করে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিজেপির নারীবিরোধী মানসিকতার আরেকটি উদাহরণে, সোমবার কোচবিহারের দিনহাটায় এলওপি শুভেন্দু অধিকারীর সভা চলাকালীন, বিজেপি মহিলা মোর্চা নেত্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বন্ধ করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ভিডিওটিতে বলতে শোনা যায়, “আগামী ৩ মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। আমরা ভিক্ষা চাই না, আমরা স্বনির্ভর হতে চাই। এই লোকসভা নির্বাচনে ৩৫টি আসন নিয়ে বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসার পরে এই সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে পতন হবে।” ইতিমধ্যেই এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।