ফের লজ্জার মুখে পড়ল বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশ। এবার যোগীরাজ্যে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় শ্লীলতাহানির শিকার হল এক বাঙালি কিশোরী। ঘটনাটির দৃশ্য বন্দি হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলার গোবর্ধন এলাকায়। তবে পঞ্চায়েতের লোকজন ওই কিশোরকে ধরে ফেললেও তাকে শুধুমাত্র জুতো মেরে ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কোলে এক শিশুকে নিয়ে লোকালয়ের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল ওই কিশোরী। তার পাশ দিয়ে এক বৃদ্ধাও যাচ্ছিলেন। তখন পিছন থেকে দৌড়ে আসে অভিযুক্ত কিশোর। হঠাৎ করে সে কিশোরীর কাছে ছুটে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে। কিশোরী কিছু বুঝে ওঠার আগেই অভিযুক্ত তাকে জোর করে চুমু খেতে শুরু করে। কিশোরী নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে অভিযুক্ত কিশোরীকে ছেড়ে দিয়ে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে কিশোরীর চিৎকার শুনে সেখানে ছুটে আসে তার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
উক্ত ঘটনার পরে স্থানীয় পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানায় মেয়েটি। তবে পঞ্চায়েতের সদস্যরা অভিযুক্তকে কিশোরী এবং তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেন এবং নিজের চপ্পল দিয়ে নিজের মাথায় ১০ বার মারার নির্দেশ দেয়। এরপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পুলিশ কিশোরের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছে। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পেশ করা হবে। জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর বাড়ি পশ্চিমবাংলায়। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মথুরায় ধর্মীয় স্থানে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে গিয়ে যে এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে তা বুঝতে পারেনি কিশোরী এবং তার পরিবার। ঘটনায় পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।একইসঙ্গে কিশোরকে পুলিশের হাতে তুলে না দেওয়ার জন্য প্রশ্নের মুখে পড়েছে পঞ্চায়েত। এই ঘটনায় কিশোরের বিরুদ্ধে কেন কড়া পদক্ষেপ করল না পঞ্চায়েত, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই বিতর্কের ঝড় শুরু হয়েছে একাধিক মহলে।