নির্বাচনে যতই এগিয়ে আসে ততই চড়ে কুকথার পারদ। বিতর্কিত মন্তব্য করে কখনও কখনও দলকে বিড়ম্বনায় ফেলেন প্রার্থীরাই। যদিও নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের আচারণ-আচরণ নিয়ে সীমারেখা নির্ধারণ করে দিয়েছে তবে সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই চলে ‘অবাধ’ বক্তৃতা। এবার রাজস্থানের ঝুনঝুনুর বিজেপি প্রার্থীর শুভকরন চৌধুরী বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সংবাদের শিরোনামে।
চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে ঝুনঝুনু থেকে লড়ছেন বিজেপি প্রার্থী শুভকরণ চৌধুরী। ৪ এপ্রিল উদয়পুরবতীতে জনসংযোগ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘যেসকল হিন্দুরা মোদীকে ভোট দেন না তারা আসলে বিশ্বাসঘাতক।’ বিজেপি প্রার্থীর এই বক্তব্য ভাইরাল হতেই চুপ করে থাকেননি বিরোধীরাও। ধেয়ে আসছে সমালোচনা, কটাক্ষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বক্তব্যের ভিডিয়ো ভাইরাল হলে সমালোচনা করেন নেটিজেনা। এই ভিডিওর উদ্ধৃতি দিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের অভিযোগ, কী ভাবে একজন নেতা মোদীকে যাঁরা ভোট দেননি তাঁকে অপরাধী বলে দাগিয়ে দিলেন?’ ওই নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।
৪ এপ্রিল উদয়পুরওয়াটিতে জনসংযোগ সভা করছিলেন ওই বিজেপি প্রার্থী। বিকেল ৪টায় নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন উপ-প্রধান মদনলাল ভাওয়ারিয়া, কাউন্সিলর রাজেন্দ্র দেহলওয়াল, কৃষক নেতা ধনরারাম সাইনি, প্রাক্তন কাউন্সিলর হরিশ দায়মা, বজরং দলের প্রাক্তন শহর সভাপতি অশোক সাইনি সহ আরও অনেক নেতা। ভাষণের মাঝে প্রার্থী শুভকরণ চৌধুরী বলেন, ‘এটি জাতপাতের ভিত্তিতে নির্বাচন নয়। যাঁরা হিন্দু-সনাতনী হয়েও মোদীর বিরুদ্ধে ভোট দেন, পদ্ম চিহ্নের বোতাম না টিপে অন্য চিহ্নের বোতাম টেপেন তাঁরা অপরাধী, দেশদ্রোহী।’ বলেন, সকলে পদ্ম প্রতীকের বোতামে টিপে ভোট দিন। এই নির্বাচন উদয়পুর তথা দেশের মানুষের জন্য উদ্বেগের নির্বাচন। এটা জাতি গঠনের নির্বাচন। ৩৭০ অনুচ্ছেদ এবং তিন তালাক আইন সরানোর জন্য একটি নির্বাচন রয়েছে।’