কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে জোড়া সভা আছে মুখ্যমন্ত্রীর। প্রথম সভাটি হবে কোচবিহারের দিনহাটার সংহতি ময়দানে। দ্বিতীয় সভা হবে আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে। গত ৪ থেকে ৬ এপ্রিল উত্তরবঙ্গে রোজ দু’টি করে জনসভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে থাকার সময় ১৬ এপ্রিল বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জে সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী। সুতরাং নববর্ষের আবহে সরগরম হতে চলেছে উত্তরবঙ্গ।
এদিকে ২০১৯ সালের তুলনায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে নিজেদের হারানো জমি ফিরে পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই সেটাকে ধরে রাখতে লোকসভা নির্বাচনে জোরকদমে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাঁচ বছর আগে উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা আসনের মধ্যে সাতটি জিতেছিল বিজেপি। একটি জেতে কংগ্রেস। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির বাংলাকে ‘বঞ্চনা’ করার বিষয়টিকে হাতিয়ার করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে মনে করিয়ে দিয়েছেন মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়েছিল বিজেপি।
কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ির ভোট ১৯ এপ্রিল। আর ২৬ এপ্রিল ভোট রয়েছে বালুরঘাট, রায়গঞ্জ এবং দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়িতে সাতটি সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ শুক্রবার কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের পর শনিবার মুখ্যমন্ত্রী জলপাইগুড়িতে একটি সভা করে ফিরবেন কলকাতায়। নববর্ষ উপলক্ষ্যে এবারও সাধারণ মানুষের মঙ্গল কামনা করে পুজো দেবেন কালীঘাট মন্দিরে। তার পর দিনই প্রচারে আসবেন উত্তরবঙ্গে।