এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে আদালত অবমানমার অভিযোগ আনল রাজ্য।রাজ্যপালকে কড়া চিঠি দিয়েছে শিক্ষা দফতর। রাজ্যের বক্তব্য, ‘রাজ্যপালের কর্মকাণ্ড আদালত অবমাননার সমান’। শিক্ষা দফতরের অভিযোগ, আইনের বাইরে গিয়ে, একক ভাবে রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের চার বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। রাজ্যপাল যাতে এই ধরনের নির্দেশ প্রত্যাহার করেন, তাও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়েছে, রাজ্যপাল যাতে তৎপরতার সঙ্গে রাজ্যের ৩১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমস্যা নিয়ে এখনই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বিকাশভবনের তরফে রাজভবনে পরিষ্কার করা হয়েছে, নতুন করে কোনও উপাচার্যকে নিয়োগপত্র দিয়ে থাকলে তা বাতিল করা হোক।
প্রসঙ্গত, রাজভবনের তরফে ৫ এপ্রিল এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়। আর তা নিয়েই জটিলতা। এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছিল, শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশক্রমে রাজ্যপাল দার্জিলিং হিলস, ঝাড়গ্রাম সাধু রামচাঁদ মুর্মু, উত্তর ২৪ পরগনার হরিচাঁদ গুরুচাঁদ এবং হুগলির রানি রাসমণি গ্রিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। উচ্চশিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক রাজভবনের এক হ্যান্ডেলে এ হেন পোস্টের কথা উল্লেখ করেন। পরে তিনিই দাবি করেন, রাজভবনের তরফে সেই পোস্ট আবার মুখেও ফেলা হয়। এখানেই রাজ্যপালের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার। বিকাশ ভবনের তরফ থেকে চিঠিতে দাবি করা হয়, রাজ্যপাল অবিলম্বে এই নির্দেশ যাতে প্রত্যাহার করেন। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসে তারপরই যেন তিনি উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টিতে সিদ্ধান্ত নেন।