গত সোমবার এনআইএ-এর মতো এজেন্সির অপব্যবহার রুখতে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়ে এবং জলপাইগুড়ি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি বাড়ি তৈরির অনুমতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল৷
কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দ্রুত সাক্ষাতের দাবিতে বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরের বাইরে ২৪ ঘণ্টার ধর্নাতেও বসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সহ দলের দশজন নেতানেত্রী৷ কিন্তু, কিছুক্ষণ পরেই বলপ্রয়োগ করে তাঁদের সেখান থেকে হঠিয়ে দেয় পুলিশ৷ আটকও করা হয়৷ এমনকি, মহিলা সাংসদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও করা হয় বলে অভিযোগ৷
মঙ্গলবার এ নিয়ে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে ফের আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে কড়া আক্রমণ করে লেখেন, ‘কেন গণতন্ত্র আমার মাতৃভূমিতে লুণ্ঠিত হচ্ছে প্রতিপদে? গতকাল রাজধানীর বুকে আমাদের ১০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে যা ঘটল, তা গণতন্ত্রের মৃত্যু ছাড়া আর কী? দিল্লির পুলিশ কি আদৌ মানুষের সেবা করছে, নাকি তারা দিল্লির স্বৈরতন্ত্রের দলদাস হয়ে গিয়েছে?’
অভিষেকের কথায়, ‘ ৩ অক্টোবর ২০২৩-এর পর, আজ গোটা দেশ যে মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী থাকল, তা দেশের জন্য লজ্জার, দেশবাসীর জন্য লজ্জার। আমাদের প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে এবং ইডি, এনআইএ-র পক্ষপাতদুষ্ট পদক্ষেপের কথা বলতে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাকা স্থায়ী বাড়ি তৈরী করার অনুমতি চাইতে! ধিক্কার নির্বাচন কমিশন!’