তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের বাড়ির দরজা ভাঙতে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে দেখা যায় খোদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে। তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন তিনি এবং তাঁর অনুগামীরা। এই সবের মাঝেই তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করল, ঠাকুরবাড়িতে মন্দিরে জুতো পরেই প্রবেশ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সেই অভিযোগের পক্ষে একটি ভিডিয়ো (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ‘এখন খবর’) প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে দেখা গিয়েছে হলুদ জামা পরিহিত শান্তনু ঠাকুর একটি চেয়ারে বসে আছেন। তাঁর সামনেই সম্ভবত প্রণামীর থালা। আর সেখানে একজন জুতো পরে দাঁড়িয়ে আছেন চৌকাঠের পাশেই।
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘আজ বিজেপির সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সামনেই কেন্দ্রীয় বাহিনী জুতা পরে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করে। ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িকে অপবিত্র করা হয়। সেই সময় দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন শান্তনু। এটাই অবশ্য তাঁর প্রথম অপরাধ নয় – এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ঠাকুরবাড়িতে দর্শন করতে গিয়েছিলেন এবং জোর করে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। তখনও এই একই ঘটনা দেখা গিয়েছিল। মতুয়া সম্প্রদায়ের ভাবাবেগের প্রতি কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই শান্তনুর। এমন একজন মানুষকে জমিদার বলে অভিহিত করা ছাড়া আর উপায় নেই!’ অপর এক বার্তায় তৃণমূল লেখে, ‘শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম বার্ষিকীর একদিন পরে শান্তনু ঠাকুর এভাবে সম্মান জ্ঞাপন করলেন তাঁকে। আবারও বিজেপি এবং মোদীর পরিবারের বাংলা বিরোধী নোভাব সামনে এসেছে। বাংলার প্রতি তাঁদের কোনও সম্মান নেই।’