তড়িঘড়ি পদক্ষেপের পথে হাঁটল রাজ্য পরিবহণ দফতর। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন মিটলেই রাজ্যজুড়ে শুরু হবে গাড়ির সেন্সাস। মোটর ভেহিকল আইনের আওতাভুক্ত বাংলার সমস্ত সচল যানবাহনের এই প্রথমবার গণনা হবে। ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক মিলিয়ে, এই মুহূর্তে রাজপথে চলাচল করে এমন গাড়ির প্রকৃত সংখ্যা জানতেই এহেন পদক্ষেপ। আগামী ১লা জানুয়ারি থেকে গাড়ির বকেয়া কর, সিএফ, পারমিটের উপর ওয়েভার স্কিম চালু করা হয়। ৩১শে মার্চ পর্যন্ত চলা এই কর ছাড় প্রকল্পের জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল সরকার। কিন্তু রাজকোষে ঢুকেছে মাত্র ১৬৫ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে দেড় কোটি গাড়ি রয়েছে, এমন হিসেবের উপর ভিত্তি করেই ওয়েভার স্কিমের জন্য আগাম ৫০০ কোটি টাকা ঘরে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে ৭৫ থেকে ৮০ লক্ষ গাড়ির অস্তিত্ব রয়েছে। তার মধ্যে ৭৫ শতাংশই দুই চাকার মোটর বাইক কিংবা স্কুটি। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “অস্তিত্বহীন গাড়ি চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে আমরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছি। কেননা, রাস্তায় নেই, অথচ বাহন পোর্টালে থেকে গিয়েছে এমন লক্ষ লক্ষ গাড়ির তথ্য-তালাশে সেন্সাস একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। গোটা কাজটি অত্যন্ত কঠিন। তবুও ভোট মিটলেই পুরোদমে কাজটি শুরু হবে।” সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্য বেসরকারি এজেন্সির সাহায্য নেবে। তবে সরকারি পরিকাঠামোর মধ্যে থেকে চালু গাড়ির সংখ্যা জানার লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।