জোরকদমে চলছে ভোটের প্রচার। আর কিছুদিন পরেই লোকসভা নির্বাচন। শনিবার রানিগঞ্জ থানার জে কে নগরে কর্মী সম্মেলন করলেন আসানসোল লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। সেখান থেকে মোদী সরকার তথা পদ্মশিবিরকে একহাত নিয়ে তাঁর বক্তব্য, গোটা দেশে আসন্ন নির্বাচনে দেড়শোর বেশি আসন পাবে না বিজেপি। লোকসভা ভোটে চারশো আসন পাওয়ার দাবি করলেও ১৫০-র বেশি আসন পাবে না মোদীর দল। তাঁর আরও দাবি, এবার দিদির যুগ আসতে চলেছে। কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন তিনি, “ভোট দিয়ে জয়লাভ করান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আসবেন। মনে রাখবেন এবার তৃণমূল কংগ্রেসই দেশের রাজনীতির গেম চেঞ্জারের ভূমিকা নেবে।” ২০২২ সালে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে তিন লক্ষের বেশি ভোটে জেতা শত্রুঘ্ন ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, যেভাবে তিনি সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছেন ভবিষ্যতেও থাকবেন। তিনি আরও বলেন, “বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল একবার উপানির্বাচনে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হারলেন। লোকে বলছে, সেজন্যই তিনি মেদিনীপুর পালিয়ে গিয়েছেন। উনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের পাশে থাকেননি।”
উল্লেখ্য, ইফতার এবং বিভিন্ন জায়গায় কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে ফের আসানসোলে জনসংযোগ শুরু করেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। শুক্রবার আসানসোল রেলপার এলাকায় ইফতারে অংশ নেন তিনি। তারপর রাতে সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুরে গিয়ে কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক, আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। তিনি শত্রুঘ্ন সিনহাকে বিপুল ভোটে জয়ী করার আর্জি জানান। সেখানেও তৃণমূল প্রার্থী জানান, দেড়শোর বেশি আসন পাবে না বিজেপি। শনিবারও সেই সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। এদিন দুপুরে জে কে নগর বাজারের এক কমিউনিটি হলে কর্মী সম্মেলন করে তৃণমূল। আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মীদের নিয়ে ডাকা সভায় ভিড় উপচে পড়ে। এলাকায় সিপিএমের সন্ত্রাস থেকে এখানকার বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল যে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করেননি, সে’কথা উঠে আসে সভায়। তৃণমূল জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের প্রার্থী অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্রর সমকক্ষ। তারকা হয়েও সাধারণ কর্মীদের বাড়িতে খাচ্ছেন। মাছের কাঁটা বেশি থাকলে বেছে দেওয়ার আবদার করছেন। বিজেপি সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া কাজের হিসেব দেননি, উল্টে পালিয়ে গিয়েছেন। বিধায়কও এখানকার মানুষকে ছেড়ে মেদিনীপুরে ঘুরতে গিয়েছেন।” পাশাপাশি, জেলা সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি বলেন, বিজেপি এমপি, এমএলএরা দিল্লী গিয়ে সাধারণ মানুষের টাকা আটকে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন। আসন্ন নির্বাচনে তাদের ঠিকই কড়া জবাব দেওয়া হবে।