মোদী জমানায় শিকেয় উঠেছে দেশের পাট শিল্প। কারণ পাটের ক্ষেত্রে নুন্যতম সাহায়ক মূল্য ঘোষণা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে অবৈধভাবে পাট সরবরাহ হচ্ছে। আর তার ফলে দিনে দিনে ধ্বংসের মুখে ভারতের ঐতিহ্যশালী এই শিল্প। আর পাট শিল্পের এই অন্ধকার দিকই এবার লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলকে ডিভিডেন্ট দিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, বাংলার জুটমিলগুলিতে প্রায় ২.৫ লক্ষ শ্রমিক কাজ করেন, প্রায় ৪০ লক্ষ কৃষক কাঁচামাল অর্থাৎ পাট উৎপাদনের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনের সময় তাঁদের পৌঁছবে সমর্থন চাইতে। বিশেষ করে পাট বেল্ট অর্থাৎ হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়া জেলায়। ২০১৯ সালে, বিজেপি ব্যারাকপুর এবং হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছিল। এই এলাকাগুলিতে একাধিক জুটমিল রয়েছে। অন্যদিকে যে সব এলাকায় পাট চাষ হয় সেই সব এলাকাগুলিতে ভাল ফল করেছিল তৃণমূল।
পাট চাষের জন্য পরিচিত মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান দাবি করেছেন, রাজ্য সরকার পাট শিল্পের জন্য অনেক কিছু করছে। কাঁচামালের কম দামের বিষয়টি নিয়েও লড়াই করছে তাঁর দল। তিনি বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে, তৃণমূল সরকার মিল শ্রমিকদের জন্য একটি নতুন মজুরি চুক্তি সম্পন্ন করেছে। তাতে তাদের প্রাপ্য সুবিধাগুলি কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্য সরকার শস্য বীমা প্রদান করছে, অন্যদিকে কেন্দ্র এই খাতটিকে অবহেলা করছে।’