মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বিরোধীদের চুপ করাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লেলিয়ে দেয় বিজেপি। বরাবরই এই অভিযোগ করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দেশের তামাম বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। এবার লোকসভা ভোট শুরুর মুখে ফের প্রকাশ্যে গেরুয়া শিবিরের প্রতিহিংসার রাজনীতি! এবার বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি প্রতিষ্ঠাতা লালুপ্রসাদ যাদনের বিরুদ্ধে জারি হল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। গোয়ালিয়রের এমপি-এমএলএ আদালতে অস্ত্র মামলায় বর্ষীয়ান নেতার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি হয়।
প্রসঙ্গত, মামলাটি ২৬ বছরের পুরনো। এই মামলায় ১৯৯৮ সালেই লালুকে ‘ফেরার’ ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে অভিযুক্ত রাজকুমার শর্মা গোয়ালিয়রের তিন সংস্থা থেকে হাতিয়ার ও কার্তুজ কিনেছিলেন বলেই অভিযোগ। ওই অস্ত্র তিনি বিহারে বিক্রি করেন। যাঁরা সেই অস্ত্র কিনেছিলেন তাঁদের মধ্যেই লালুর নামও উঠে এসেছে। সব মিলিয়ে ২২ জন অভিযুক্ত। তাঁদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হলেও পলাতক হিসেবে রয়েছে যে ১৪ জনের নাম তাঁদের মধ্যে অন্যতম লালু।
কিন্তু এই মামলার অভিযুক্ত লালুপ্রসাদ বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীই কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। আসলে আদালতের রেকর্ড থেকে বিষয়টির সমাধান করা যাচ্ছিল না। কারণ নথি অনুসারে লালুর বাবার নাম কুন্দ্রিকা সিং। কিন্তু আরজেডি নেতার বাবার নাম কুন্দন রায়। তবে লালুর বাবার নাম স্রেফ ফেরারি পঞ্চনামাতেই ছিল। পুলিশ কোর্টে যে চালান ও অভিযুক্তদের তালিকা পেশ করেছিল সেখানে তা ছিল না। তবে পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত লালু ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী একই ব্যক্তি। আর তাই এবার তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।