বীরভূমে তৃণমূলের শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন সদ্য পদত্যাগী পুলিশ কর্তা দেবাশিস ধর। কোচবিহারের জনসভা থেকে নাম না নিয়ে তাঁকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শীতলকুচির গুলিকাণ্ড নিয়ে সরাসরি তাঁকে দায়ী করেছেন তিনি। একই সঙ্গে, বিজেপিকে দোষারোপ করে তাঁর মন্তব্য, কেন্দ্রের সরকার কোনও আইন মানে না, সংবিধানকে গুরুত্ব দেয় না।
কোচবিহারের সভা থেকে মমতা জানান, ”শীতলকুচিতে নির্বাচনের সময়ে লাইনে দাঁড়ানো পাঁচজনকে গুলি করে মেরেছিল। ভোট চলাকালীন এসেছিলাম ছুটে। যে লোকটির নির্দেশে হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের দুটি ডিপি চলছে। ভিজিল্যান্স ক্লিয়ার হয়নি। কিন্তু ভারতবর্ষের সরকার তাঁকে ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দিয়েছে। কোনও আইনকানুন কিছু মানে না। তিনি আবার বীরভূমে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে এত মানুষ মেরেও হাতের রক্ত মোছেনি।”
মমতা বলছেন, কেউ এসডিপিও থেকে শুরু করে কন্সটেবল হবে, সিভিক পুলিশ, এসডিও, বিডিও ডাক্তার হবে। কিন্তু কারও অধিকার নেই কোনও রাজনৈতিক দলের দালালি করে মানুষের প্রাণ কেড়ে নেব। এমন এক ঘটনার অভিযুক্তকে প্রার্থী করার জন্য বিজেপিকে কার্যত তুলোধনা করেছেন মমতা। তাঁর সাফ কথা, বিজেপির নীতি এক দেশ, এক রাজনৈতিক দল। কোনও বিরোধী দলকে তাঁরা টিকতে দেবে না।
বৃহস্পতিবারই আবার কোচবিহারে সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী। বিজেপির সেই সভা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় আগতদের তিনি বলেন, এসে কত কান্নাকাটি করবে দেখবেন। কিন্তু আবাসের টাকা, ১০০ দিনের টাকা কোথায় গেল, সে নিয়ে কিছু বলবে না। মমতার আক্রমণ, কেউটে সাপকে পোষ মানানো যায়, কিন্তু বিজেপি পার্টিকে কখনও বিশ্বাস করা যায় না।