রীতিমতো বইল রানের বন্যা! বুধবারের বিশাখাপত্তনমে দিল্লী ক্যাপিটালসের বোলিংকে তুলোধোনা করে ২৭২ রান তুলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। জবাবে দিল্লীর ইনিংস শেষ হল ১৬৬ রানে। টানা তিন ম্যাচ জিতে লিগ টেবলের শীর্ষে পৌঁছে গেল নাইটরা। এদিন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেকেআরের অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার সুনীল নারাইন ও ফিলিপ সল্ট। ৩৯ বলে ৮৫ করে দিলেন নারাইন। সাতটি চার এবং সাতটি ছক্কা মারেন তিনি। সল্ট আউট হন ১৮ রানে। বিশেষভাবে নজর কাড়লেন তরুণ ব্যাটার অঙ্গকৃশ রঘুবংশী। গত ম্যাচেই দলে নেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সেই ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স আগে বল করায় ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নেমেছিলেন ১৮ বছরের তরুণ। বুধবার তিনি ছিলেন প্রথম একাদশে। ব্যাট করতে নামলেন তিন নম্বরে। ২৭ বলে করলেন ৫৪ রান। “আমি ব্যাট করতে নেমে শুধু বল দেখছিলাম। ব্যস, আর কিছু করিনি। প্রচুর অনুশীলন করেছি। সেটার ফল পেলাম”, জানিয়েছেন অঙ্গকৃশ।
নারাইন এবং অঙ্গকৃশের পর ঝোড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যান আন্দ্রে রাসেল। ১৯ বলে করলেন ৪১ রান। রিঙ্কু সিংহ ৮ বলে ২৬ রান করেন। কেকেআরের ব্যাটারেরা বুধবার মোট ১৮টি ছক্কা মারেন। এনরিখ নোখিয়ে ৪ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন। কাশ্মীরের পেসার রাসিখ সালাম তিন ওভারে ৪৭ রান দেন। বাঁহাতি পেসার খলিল আহমেদ ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। ইশান্ত শর্মা ২ উইকেট নেন। তবে ৩ ওভারে ৪৩ রান দেন তিনি। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় দিল্লী। আউট হয়ে যান পৃথ্বী শ। তার পর একের পর এক ব্যাটার এসে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন। ছন্দে ফিরলেন মিচেল স্টার্ক। তিনি দু’টি উইকেট নেন। হর্ষিত রানা চোট পাওয়ায় বল করতে পারেননি। তাতেও কোনও সমস্যা হয়নি কেকেআরের। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে মাঠে নামা পেসার বৈভব আরোরা ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। ৩ উইকেট তুলে নেন বরুণ চক্রবর্তীও। ৪ ওভারে তিনি দিলেন ৩৩ রান। একটি উইকেট নেন রাসেলও। দিল্লির বাকি ব্যাটারেরা রান না পেলেও অধিনায়ক পন্থ ২৫ বলে ৫৫ রান করেন। তিনি আগের ম্যাচেও অর্ধশতরান করেছিলেন। পর পর দু’ম্যাচে অর্ধশতরান করলেন পন্থ। রান পেয়েছেন ট্রিস্টিয়ান স্টাবসও। তিনি ৩২ বলে ৫৪ রান করেন। ম্যাচের সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয় নারাইনকে।